তবে প্রধাণমন্ত্রী ভাষণে একবারও সিএএ (CAA) নিয়ে কোন কথা বলেননি। যে দাবি নিয়ে সম্প্রতি মতুয়াদের একাংশের মধ্যে কেন্দ্রের সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখা গেছে। শান্তুনু ঠাকুর জানান, প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন তাতে সারা ভারতবর্ষে বিশেষ করে মতুয়া সমাজ, সবার আগে রাষ্ট্রের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। দেশ গঠনের ক্ষেত্রে মতুয়াদের যে ভূমিকা ছিলো তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিহাসে বা কোন কাল চক্রে মতুয়ারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলো,যে কারণে মতুয়াদের ইতিহাস মুছে গিয়েছিলো, সে ইতিহাস কে প্রধানমন্ত্রী আজ একবার নতুন করে তুলে ধরলেন।পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সিএএ (CAA) নিয়ে কিছু না বললেও, নাগরিকত্ব আইন তো হয়েই গেছে কিন্তু এটা বাস্তবায়ন হওয়া শুধু বাকি আছে বলে জানান শান্তুনু ঠাকুর। যেহেতু সাংবিধানিক ভাবে নাগরিকত্ব আইন হয়ে গেছে সেক্ষেত্রে এটা বাস্তবায়ন হবে বলে মত শান্তুনু ঠাকুরের। বিষয়টি এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্ত করার প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে মনে করেন নি ঠাকুরবাড়ির এই সদস্য।
advertisement
অন্যদিকে মমতা ঠাকুর মনে করেন, পুরো বিষয়টাই ভাওতা। শান্তনু বাবু যে কথা বলছে আর মোদির কথার সাথে কিছুই মিলছে না। বিভ্রান্তি মধ্যে মতুয়াদের আবারো ফেলার চেষ্টা করছে শান্তনু ঠাকুর। সবসময় মতুয়াদের নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। ২০২৪ শে ভোট, যখনি ভোট আসে তখনি মতুয়াদের নিয়ে কিছুনা কিছু প্রতিশ্রুতি দেয় বলে মত মমতা ঠাকুরের। তবে প্রধানমন্ত্রী মতুয়াদের উদ্দেশ্যে এইদিনে যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মমতা বালা ঠাকুর। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সি এ এ নিয়ে কিছু না বলায় যেমন মনোক্ষুন্ন একসংখ্যক মতুয়া ভক্ত, তেমনি নতুন কোনো ঘোষণা না হওয়ায় নিরাশ তারা। মতুয়া অরিন্দম রায় জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণে আমরা আশা করেছিলাম মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বিশেষ কোনো ঘোষণা থাকবে। তবে তেমন কিছুই বলেননি প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি মত সি এ এ নিয়ে কোনো সঠিক বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী যে আমাদের এই বারুনী মেলা কে গুরুত্ব দিয়েছেন তার জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ঠাকুরনগরে দিনেও চলছে পুণ্যস্নান বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ভক্ত কামনা সাগরে স্নান করে পুণ্য অর্জনে ব্রতী হচ্ছেন।(প্রতিবেদক - রুদ্র নারায়ন রায়)