বছরভর পুকুরের নীচে রাখা থাকে বিগ্রহটি। যেহেতু জলের নীচে ইশ্বর অর্থ্যাৎ মহাদেব বাস করেন সেহেতু এই অঞ্চলের নাম হয়েছে জলেশ্বর। প্রতিবছর বিগ্রহটি চৈত্র মাসের তৃতীয় সোমবার শিবপুকুর থেকে তুলে আনা হয়। আর সেই কাজটি করে থাকেন চড়কে যারা সন্ন্যাসী হন তারা।পরদিন ওই বিগ্রহ নিয়ে সন্ন্যাসীরা পায়ে হেঁটে হালিশহর গিয়ে বিগ্রহকে গঙ্গায় স্নান করিয়ে নিয়ে আসেন জলেশ্বরের এই শিবমন্দিরে। ফের ১লা বৈশাখ মূল বিগ্রহকে শিব পুকুরেই ডুবিয়ে দেওয়া হয়। কথিত আছে, মনের বিশ্বাস নিয়ে কেউ এই মন্দিরের বাবা ভোলানাথের পুজো দিলে তার মনস্কামনা পূর্ণ করে থাকেন তিনি। আর সেই বিশ্বাসে প্রতিবছর শিবরাত্রে ও চৈত্র মাসে পুজো দিতে দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসেন পুন্যার্থীরা। এছাড়া সারাবছর ধরেই তারকেশ্বরের মতোই পুন্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকে জলেশ্বর শিবমন্দিরে। এই মন্দিরকে ইতিমধ্যেই হেরিটেজ ঘোষণা করেছেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে জলেশ্বর শিবমন্দিরের নাম তাই রয়েছে প্রথম সারিতেই।
advertisement