কলকাতার জয়া সিনেমা হল থেকে শুরু, তারপর রক্সি, এলিট, বিজলি, প্যারাডাইস – শহরের প্রায় সমস্ত নামজাদা সিনেমা হল ঘুরেছেন কাগজের টিকিটের খোঁজে। শুধু শহরেই নয়, সিনেমার নেশায় ছুটেছেন বারুইপুর থেকে মেদিনীপুর, বর্ধমান, বীরভূম, এমনকি উত্তরবঙ্গ অবধিও। ২০০৩ সালে শুরু, ২০২৫-এ হাতে এল গিনেস সম্মান। মাত্র অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু। প্রথম টিকিট লুকিয়ে রেখেছিলেন বইয়ের পাতায়। আর সেখান থেকেই শুরু ‘মেমোরির মিউজিয়াম’ গড়ে তোলা। ২০২৩-এ ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এ নাম উঠেছিল, আর এবারে গিনেসের স্বীকৃতি। সম্প্রতি তাঁর বাগুইআটির বাড়িতে এসে পৌঁছেছে গিনেসের মেডেল ও সার্টিফিকেট। দেবাঞ্জনের কথায়, এই টিকিট গুলির মধ্যেই লুকিয়ে আছে সময়ের গল্প। টিকিট মানে শুধু একটা সিনেমার প্রবেশপত্র নয়, এটা একটা অভিজ্ঞতা। এখন তো সবই হয় কিউআর কোডে। ফলে এই কাগজের টিকিট একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন : বার্ধক্যেও বড়লোকের বিটি লো-র স্রষ্টার নিত্যসঙ্গী চরম অভাব, পথে পথে গান শোনান নবতিপর রতন কাহার
সিনেমার টিকিট রেখে দেবাঞ্জনের এই সংগ্রহ যেন এক বিস্ময়। পেশায় তিনি একজন বেসরকারি স্কুলের বায়োলজি শিক্ষক। কিন্তু তাঁর এই টিকিট সংগ্রহের নেশাই যেন তাঁকে এক অন্য জায়গা করে দিয়েছে। গিনেস-এর ওয়েবসাইটে এখন তাই জ্বলজ্বল করছে বাংলার যুবক দেবাঞ্জন শীলের নাম। এভাবেই সিনেমা প্রেমীদের ইতিহাসে যেন এক নতুন অধ্যায় লিখলেন দেবাঞ্জন।