প্রথমে ভেবেছিল বাঁশ দিয়েই তৈরি করবে প্রতিমা। কিন্তু স্কুলের পরীক্ষা পড়ে যাওয়ায়, বাসের বদলে সময় বাঁচাতে প্লাস্টার অফ প্যারিস এর দুর্গা মূর্তি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। সেইমতো বাবার কাছে উপকরণ এনে দেওয়ার আবদারও জানায় তমগ্ন। বাবা সৌমিক চ্যাটার্জী এনে দেন বাস ও প্লাস্টার অফ প্যারিস। তারপর থেকেই পড়াশোনার ব্যস্ততার মাঝেই অবসর সময় খুঁজে নিয়ে চলছে মূর্তি গড়ার কাজ। অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে কাজ। মহালয়ার আগেই মূর্তি তৈরি শেষ হয়ে যাবে বলেই জানাচ্ছে তমগ্ন।ছোটবেলা থেকেই হাতের কাজে বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করেছে তমগ্নর বাবা-মা। আর তা দেখেই উৎসাহ যুগিয়েছেন তারা। অবসর সময় পেলেই কিছু না কিছু হাতের কাজ করে থাকে তমগ্ন। গত দুবছর ধরে থার্মোকল দিয়ে দুর্গা বানিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে পেপার দিয়ে দুর্গা মূর্তি গড়ে ইতিমধ্যেই এলাকার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে ১২ বছরের এই স্কুল পড়ুয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: বাতিল খাতা, পেন, রাবার দিয়ে তৈরি হল দুর্গা প্রতিমা! দশ মাস ধরে মূর্তি গড়লেন নদিয়ার গৃহবধূ!
পুজো আসতেই এ বছর তমগ্ন কি দিয়ে ঠাকুর বানাচ্ছে তা জানতে উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে অশোকনগর ১/৩ সংলগ্ন বাড়ির চারপাশের এলাকার মানুষদের মধ্যে। গত দুবছর ধরে তমগ্নোর হাতের তৈরি থার্মোকল ও কাগজের মূর্তি এখনো বাড়িতে সংরক্ষণ করে রেখেছেন বাবা শমীক চ্যাটার্জী। এবছরও ছেলের উৎসাহ কে বজায় রাখতে সর্বতোভাবে সাহায্য করে চলেছেন বাবা। দুর্গাপুজোয় নিজের হাতে তৈরি ঠাকুর সাজিয়েই তৃপ্তি মেলে ১২ বছরের তমগ্ন চ্যাটার্জির। পাড়া পড়শিরা ভিড় করেন বাড়িতে, আনন্দ খাওয়া দাওয়ার মধ্যে দিয়েই পুজোর দিনগুলি কাটায় খুদে এই শিল্পী।
রুদ্র নারায়ণ রায়