অন্যদিকে, সুটকেস হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা বছর ৬৫-র মৃত্যুঞ্জয়বাবুর। সুটকেসের চিন্তায় তখন কপালের ঘাম দরদর করে পড়ছে পায়ে। সুটকেসের ভেতরেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ নথি, ব্যাংকের পাস বই-সহ প্রায় ৩০ হাজার টাকা। দিশেহারা অবস্থায় বনগাঁ স্টেশন সংলগ্ন টোটো স্ট্যান্ডে গিয়ে বিষয়টি জানান সুটকেস হারানো বনগাঁর বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। সেখানে বৃদ্ধ মৃত্যুঞ্জয় বাবুর এই পরিস্থিতি দেখে টোটো চালকরাই তৎপর হন। দ্রুত বিষয়টি জানানো হয় বনগাঁ মতিগঞ্জ ই-রিক্সা ইউনিয়নে। এরপর নিজেদের মধ্যেই যোগাযোগ করে ইউনিয়নের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়, বৃদ্ধ মৃত্যুঞ্জয় বাবুর হারানো সুটকেসটি পাওয়া গিয়েছে। শুনে দ্রুত ছুটে আসেন তিনি। এরপরই, টোটো চালকের ইউনিয়নে জমা দেওয়া সুটকেসটি তুলে দেওয়া হয় মালিকের হাতে। নিজের ভুলবশত হারানো সুটকেস ফিরে পেয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। পাশাপাশি, টোটো চালকের সততার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র-সহ টাকা ফিরে পেয়ে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ওই বৃদ্ধ। ইউনিয়নের তরফ থেকে সম্পাদক উত্তম দত্ত জানান, এভাবে মানুষের পাশে থাকতে পেরে তারাও খুশি।
advertisement
Rudra Narayan Roy