পঞ্জাব পুলিশ গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছিল যে, এই জসবীর সিং একটি সন্ত্রাসবাদ-সমর্থিত গুপ্তচরবৃত্তি নেটওয়ার্কের অংশ। সে শাকির ওরফে জাট রন্ধাওয়ার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। রন্ধাওয়া আইএসআই-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী।
এছাড়াও, ২০২৪ সালে দানিশের আমন্ত্রণেই দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে আয়োজিত পাকিস্তান জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল জসবীর। সেই অনুষ্ঠানে সে পাক সেনা কর্তা এবং গোয়েন্দা কার্যকলাপের সাথে জড়িত কিছু ভ্লগারের সাথে দেখাও করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
জসবীর ২০২০, ২০২১ এবং ২০২৪ সালে তিনবার পাকিস্তানে গিয়েছে এবং তার ফোনে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সে সবেরই ফরেন্সিক তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: চাকরিই নিলেন না পরীক্ষার্থীরা! নিয়োগ পত্র পেয়েও স্কুলে যোগ দিলেন ৫০০-রও বেশি শিক্ষক
এছাড়া, হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রার সাথেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জয়বীরের। অন্যদিকে, জ্যোতি দানিশেরও ঘনিষ্ঠ ছিল৷ জ্যোতি গ্রেফতার হওয়ার পরে, জসবীর তাঁর ফোন থেকে পাকিস্তানিদের সঙ্গে কথোপকথন মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সময় মতো পাকড়াও করে জসবীরকে।
অন্যদিকে, জ্যোতির ডিভাইস থেকে ১২ টেরাবাইট ডেটা উদ্ধার করা হয়েছে৷ যার মধ্যে আইএসআইয়ের সাথে তার চ্যাট এবং আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চিনকে এবার হাতেনাতে ধরল আমেরিকা..প্যাকেটে করে ওটা কী পাচার করছিল? FBI-এর হাতে চিনা গবেষক
পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাক গুপ্তচরবৃত্তির নেটওয়ার্কের উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। জসবীরের ঘটনা আবারও প্রমাণ করল যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতে গুপ্তচরবৃত্তির নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ফোনের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ফলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।