দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সতেন্দ্র জৈনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুর কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘গোটা বিশ্বে চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুর কোনও উদাহরণ নেই সেখানে কী করে শুধুমাত্র দিল্লিতেই এটা সম্ভব! আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যারা মারা গিয়েছেন তাদের চিকুনগুনিয়া ছাড়াও অন্য অনেক অসুস্থতা ছিল ৷’
দিল্লির নাগরিকদের তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই ৷ রাজ্য সরকার সমস্ত ধরনের সাহায্যে করার জন্যই তৈরি ৷’ একইসঙ্গে রাজধানীবাসীর কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, ‘জ্বর হলেই হাসপাতালে ভর্তি হবেন না ৷ ডাক্তার আপনাকে ভর্তি হতে বললে তবে হাসপাতালে যান ৷ না হলে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বেড পেতে সমস্যা হবে ৷’
advertisement
দিল্লির হাসপাতালগুলিতে উপছে পড়ছে রোগীর ভিড় ৷ অধিকাংশই জ্বরের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন ৷ রোগীর তুলনায় শয্যা সংখ্যা অনেক কম ৷ হাসপাতালগুলিতে একটি বেডে প্রায় পাঁচজন জ্বরের রোগীর চিকিৎসা চলছে ৷ একইসঙ্গে পর্যাপ্ত ডাক্তারের অভাবে ধুঁকছে হাসপাতালগুলি ৷ এরই মধ্যে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা সমস্ত সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন ৷
এই মুহূর্তে জ্বরে কাঁপছে দিল্লি ৷ অসমর্থিত সূত্রে খবর, দিল্লিতে হাজারেরও বেশি মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ৷ দিল্লি পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০৫৭ এবং ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১১৫৮ ও ২১ জন ৷ তবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে এই সংখ্যাটার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির অনেক ফারাক ৷
দিল্লির এই মুহূর্তের পরিস্থিতির দায় নিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী ৷ সোমবার ট্যুইট করে সমস্ত দোষই চাপিয়েছেন কেন্দ্র ও নরেন্দ্র মোদির ঘাড়ে ৷