TRENDING:

বিসর্জনের জেরে দূষণের চোখরাঙানি! এই নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করলেই ৫০ হাজার জরিমানা বা ৬ বছর জেল

Last Updated:

দিল্লিতে যমুনা নদী কিংবা অন্য কোনও জলাশয়ে মূর্তি নিরঞ্জন করা যাবে না বলে সাফ নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি বা ডিপিসিসি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: ঘরে ঘরে এসে গিয়েছে গণপতি বাপ্পা। মহাসাড়ম্বরে গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে গণপতি উৎসব । আর গণেশ পুজোর হাত ধরেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের মরসুম। সামনেই আবার দুর্গাপুজোও রয়েছে। কিন্তু গণেশের বিগ্রহ এবং দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন  নিয়ে এখন চিন্তা বাড়ছে। কারণ দিল্লিতে যমুনা নদী (Yamuna River) কিংবা অন্য কোনও জলাশয়ে মূর্তি নিরঞ্জন করা যাবে না বলে সাফ নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি বা ডিপিসিসি। আর এই নির্দেশ অগ্রাহ্য করা হলে জরিমানা তো গুনতে হবেই, সেই সঙ্গে পেতে হবে কারাদণ্ডও।
বিসর্জনের জেরে দূষণের চোখরাঙানি! দিল্লিতে উৎসব শেষে যমুনায় গণেশ নিরঞ্জন রুখতে কড়া নির্দেশ ডিপিসিসি-র
বিসর্জনের জেরে দূষণের চোখরাঙানি! দিল্লিতে উৎসব শেষে যমুনায় গণেশ নিরঞ্জন রুখতে কড়া নির্দেশ ডিপিসিসি-র
advertisement

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে ডিপিসিসি-র নির্দেশ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চলতি বছর গণেশোৎসব এবং দুর্গা পুজোর পরে যমুনা নদী কিংবা অন্য কোনও জলাশয়ে মূর্তি বিসর্জন করা যাবে না। ডিপিসিসি ওই নির্দেশে আরও জানিয়েছে যে, এই নির্দেশ না-মানা হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, এমনকী ছয় বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।

advertisement

আরও পড়ুন- ভগবানের সাক্ষাৎ দর্শন! দেশের এই গুহায় বসে মহাভারত লিখেছিলেন শ্রীগণেশ, দেখে আসতে পারেন আপনিও

এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তা-হলে বিসর্জন হবে কোথায়? আর কী-ভাবেই বা তা হবে? সেই বিষয়ে অবশ্য উপায় জানিয়ে দিয়েছে ডিপিসিসি। তারা পুজো হয়েছে, এমন এলাকার আশপাশেই কৃত্রিম পুকুর নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছে পৌর সংস্থাগুলিকে। এমনকী দিল্লি পুলিশকেও শহরে প্লাস্টার অফ প্যারিস (পিওপি) মূর্তি বহনকারী যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি বেআইনি প্রতিমা তৈরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্ত আঞ্চলিক কার্যালয়গুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে পৌর সংস্থাগুলিকে।

advertisement

কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? ডিপিসিসি-র বক্তব্য, পুজোর পরে প্রতিমা বা মূর্তি নিরঞ্জন একটা বড় সমস্যা তৈরি করে। কারণ বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি জলে মিশে যায়। চলতি বছরে গণেশ চতুর্থী উদযাপন শুরু হয়েছে ৩১ অগাস্ট থেকে। আর গণপতি বিসর্জন হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। যদিও জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালেই যমুনায় প্রতিমা বিসর্জন নিষিদ্ধ করেছিল। আর ২০১৯ সালে এই প্রসঙ্গে নির্দেশ জারি করেছিল দিল্লি সরকারও।

advertisement

আরও পড়ুন- নতুনদের আরও বেশি সুযোগ দিতে হবে, দলে কাদের ঢোকানো হচ্ছে তা নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, প্রতি বছর গণেশ চতুর্থী এবং দুর্গাপুজোর আগে জেলাশাসকদের কাছে বিসর্জন না-করার নির্দেশিকা পাঠায় ডিপিসিসি। এমনকী, এই সময় যমুনা নদীর ঘাটে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ-ছাড়াও অন্যান্য পথ দিয়ে যমুনা নদীর ঘাটে আসা লোকজনকে আটকাতে টহলও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টা হল যে, পুলিশ ও প্রশাসনের এত কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও মানুষ প্রতিমা বিসর্জন দেয়। আর তার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, নেওয়া হয় জরিমানাও।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ভিডিও দিলেই ভাইরাল, সমাজ মাধ্যাম কাঁপিয়ে দিচ্ছে খুদে! 'ফ্যান' প্রসেনজিৎ, শিলাজিত
আরও দেখুন

আর গণেশ চতুর্থীর পরে দুর্গাপুজোর সময়েও মানুষ যমুনা নদীতে দেব-দেবীর মূর্তি বিসর্জন করে। আর প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক নদীর জলে মিশে গেলে জল দূষিত হয়। যার জেরে নানা রকম রোগেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
বিসর্জনের জেরে দূষণের চোখরাঙানি! এই নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করলেই ৫০ হাজার জরিমানা বা ৬ বছর জেল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল