জানা গিয়েছে, বাবরালার একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ত সে। বরাবরই ভাবুক প্রকৃতির কিশোরী সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, দুর্নীতি, দূষণ, বৃক্ষছেদন-সহ নানা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত বিচলিত থাকত। টিভি কিংবা খবরের কাগজে থাকা এই ধরনের খবরে হতাশ হয়ে পড়ত। বয়স্ক কাউকে তাঁদের সন্তানরা বৃদ্ধাশ্রমে রেখেছে শুনলে মুষড়ে পড়ত। আর এই সব বিষয় নিয়েই সে মোদির সঙ্গে কথা বলার জন্য উদগ্রীব ছিল।
advertisement
১৮ পাতার সুইসাইড নোটে কিশোরী দীপাবলির রাতে বাজি পোড়ানো নিয়েও তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমনকি হোলির সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক যুক্ত রংও যাতে তৈরি, বিক্রি এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল। আর এই সব বিষয় নিয়ে সে কথা বলতে চাইত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু তার আশা পূরণ না হওয়ায় হতাশা থেকেই সম্ভবত আত্মঘাতী হয় সে।
গুন্নাউরের স্টেশন হাউজ অফিসার দেবেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ১৪ অগাস্ট নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয় তরুণী। ঘটনাস্থল থেকে রিভলভারটি উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। তবে ঘটনার পড়ে তার বাবা-মায়ের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এমনকি সে রিভলভারটি কোথা থেকে পেল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনাত তদন্ত করছে পুলিশ। সুইসাইড নোট খতিয়ে দেখে তার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা চলছে।