শনিবার থেকে চেনাব রেল সেতু উঠে এল বিশ্বের আর্কষণীয় স্থানের মধ্যে।গত কয়েকদিন ধরেই তুমুল ব্যস্ততা ছিল চেনাব রেল সেতুকে ঘিরে। বারেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছিল। শনিবারের সকাল সেই ব্যস্ততাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিল। শুভক্ষণ দেখেই যে চেনাবের "গোল্ডেন জয়েন্ট" মোমেন্ট সম্পন্ন হবে তা জানানোই হয়েছিল। বেলা এগারোটার পরে শুভক্ষণ আছে, পঞ্জিকা দেখে নিয়ে শুরু হয়ে যায় শেষ মুহূর্তের কাজ। নর্দান রেলওয়ে, কঙ্কোন রেলওয়ে, নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের প্রতিনিধিরা মিলে যোগ দেয় সেই অনুষ্ঠানে।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্দেমাতরম লেখা, পদ্ম আঁকা পতাকা বিবর্তিত হয়েই আজকের জাতীয় পতাকা, জেনে নিন ইতিহাস
বেলা বারোটা বাজতেই নারকেল ফাটিয়ে, পুজো করে শুরু হল গোল্ডেন জয়েন্ট। বিশেষ পুশ-আপ প্রযুক্তির মাধ্যমে জুড়ে গেল সেতুর দুই প্রান্ত থেকে আসা ডেক। যে কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের অগাস্ট মাসে, সেই কাজ শেষ হল ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে। ১৮ বছরের কাজ শেষ হল মাত্র এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডে। ফুল, লাড্ডু, তুবড়ি আর এই সেতুকে ঘিরে যাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের তুমুল চিৎকারে শেষ হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতুর গোল্ডেন জয়েন্ট। এদিন এই অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল ব্যাপক তৎপরতা। গোটা সেতু সাজিয়ে তোলা হয়েছিল জাতীয় পতাকায়, আনা হয়েছিল তুবরি আর লাড্ডু।
সময়ের সঙ্গেসঙ্গে চন্দ্রভাগা নদীর জল স্তর বেড়েছে। আর জলস্তর থেকে ৩৫৯ মিটার ওপরে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারা মানু্ষ আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন। নর্দার্ন রেলওয়ের চিফ অ্যাডমিন অফিসার সুরেন্দর মাহি জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়েই এই সেতু তৈরি করা হল। শীঘ্রই এই সেতুর ওপর দিয়ে দৌড়বে রেল। নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিরিধর রাজাগোপালন জানিয়েছেন, ''একাধিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে অবশ্য এটা ছিল। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে সেই কাজ সম্পন্ন করা গেল।''