পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারী দুই কর্মচারী ছোটু এবং আদি মধ্যপ্রদেশের মান্ডালার এলাকার বাসিন্দা। নিহত ধাবা মালিকের নাম রাজু ধেংরে। প্রায় এক মাস আগে মধ্যপ্রদেশের ওই দুই ব্যক্তিকে এক ঠিকা শ্রমিকের কাছ থেকে সন্ধান পেয়ে ধাবার কাজে নিযুক্ত করেন ধেংড়ে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে বাজি নিয়ে ভ্রমণ করছেন না তো? কড়া নজরদারি স্টেশন জুড়ে
advertisement
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দীপাবলিতে বোনাস নিয়ে মালিকের সঙ্গে মালিকের সঙ্গে তর্ক বাধে ওই দুই কর্মীর। ধাবা মালিক রাজু ধেংরে দুই কর্মচারীকে টাকা দিতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু কিছুদিন পরে। এই নিয়েই বচসা বাধে। রাতের খাবার সময় এই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে তিনজনে।
পরে রাতের খাবারের পর খাটের উপর ধেংরে ঘুমোতে গেলে আদি ও ছোটু তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাঁর শ্বাসরোধ করে। তারপর ভোঁতা বস্তু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মুখে আঘাত করে।
তবে, ঘটনায় রাজনৈতিক যোগও থাকতে পারে। ধেংরে, কুহি তালুকের সুরগাঁও গ্রামের প্রাক্তন ‘সরপঞ্চ’ (গ্রাম প্রধান) ছিলেন এবং সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। এই ঘটনার বিষয়ে এলাকার এসপি হর্ষ এ পোদ্দার বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ আর্থিক সমস্যা বলে মনে হলেও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে’’। এসপি পোদ্দার বলেন, ‘মামলাটি বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।’
খুনের পর ছোটু এবং আদি ধেংরের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত ছোটু এবং আদি তাদের গাড়ি নিয়ে পালানোর আগে ধেংগ্রের দেহ একটি কুইল্ট দিয়ে ঢেকেছিল, কিন্তু গাড়িটি বিহিরগাঁওয়ের কাছে নাগপুর-উমরেড রোডে একটি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়। এই ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। যেখানে দুই ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নেমে পাঁচগাঁও থেকে নাগপুরের দিকে যেতে এবং দিঘোরি নাকার দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। দু’জনে দিঘোরি থেকে একটি ই-রিকশা নিয়ে গেলেও পরে তাদের আর কোনও গতিবিধি খুঁজে পাওয়া যায়নি।