এক সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এবারের বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল উভয় কক্ষেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে পাস হয়। মহিলা সংরক্ষণ বিলে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের উল্লেখ করা হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর লোকসভায় বিলটি পাস হয়। ৪৫৪ জন সাংসদ বিলের পক্ষে ভোট দেন৷ বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র ২ জন৷ আলোচনা শেষে সন্ধে ৭টা ৬ মিনিট নাগাদ এই বিল নিয়ে ভোটাভুটি শুরু হয়৷ ৭টা ৩৯ মিনিটেই ভোটাভুটির ফল ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ৷ সংসদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন পেশ করা হয় ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়াম’ বিল৷ এর মাধ্যমে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলা রাজনীতিকদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়৷ ডিলিমিটেশন নিয়মাবলি প্রয়োগের পরে এই আইন কার্যকর হতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷ বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা অধিবেশনে বিলটি পেশ করেছিলেন৷
advertisement
গত ২৭ বছর ধরে এই বিলটি সংসদে আটকে ছিল৷ এদিন বিলের পক্ষে বক্তৃতা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, এর আগে চারবার বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছে৷ তাঁর আবেদন ছিল, এবার অন্তত বিলটি সর্বসম্মতভাবে পাস করানো হোক৷
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিতর্কের শুরু হয় কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির হাত ধরে৷ এই বিল নিয়ে খানিক স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন তিনি৷ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, কংগ্রেস এই বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন করবে, সেই মতই বক্তব্য রাখেন তিনি৷ বলেন, এই বিষয়ে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷ অর্থাৎ মোদি সরকারের আনা ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনয়ম ২০২৩’ বিলকে সমর্থন করেন তিনি, পাশাপাশি বলেন, এটি যেন এখনই কার্যকর করা হয়৷
RAJIB CHAKRABORTY