আগ্রায় কর্মরত পুলিশ অফিসার লেডি সিংহম নামে বিখ্যাত, ইউপির প্রথম মহিলা এসওজি সুকন্যা শর্মা নারীদিবসের আমাদের উজ্জ্বল রোল মডেল। তরুণ, প্রতিভাবান এবং সুন্দরী এই পিপিএস অফিসার মহিলাদের জন্য রোল মডেল হয়ে উঠছেন। সুকন্যা শর্মা আগ্রার ইতমাদপুর থানায় এসিপি পদে রয়েছেন।
তাঁর বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে ডাক্তার হবেন, কিন্তু মেয়ে চেয়েছিলেন সরকারি অফিসার হতে। এখান থেকেই শুরু হয় দু’টি স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার গল্প। ডা. সুকন্যা শর্মা আলিগড়ের রামবাগ কলোনির বাসিন্দা। বাবা আরকেএস রমন পেশায় আইনজীবী। ডা. সুকন্যারা তিন বোন- ডা. একতা শর্মা, ডা. অনসূয়া শর্মা, অন্নপূর্ণা শর্মা এবং এক ভাই সুরজ শর্মা।
advertisement
তাঁর বাবার জন্য, সুকন্যা শর্মা বিএইচএমএস-এ ভর্তি হন। পড়াশোনা করে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হন তিনি।
আরও পড়ুন: এখনও ছন্নছাড়া ইন্ডিয়া, ঘর গোছাচ্ছে বিজেপি! এবার চিন্তা কমল দক্ষিণ ভারতে
আরও পড়ুন: মোদির ‘ওয়েড ইন ইন্ডিয়া’ ডাকে সাড়া আম্বানি পরিবারের, ভারতকে ‘ডেস্টিনেশন’ করার আর্জি প্রধানমন্ত্রীর
ডাক্তারি পড়ার সময় সুকন্যা শর্মার সিভিল সার্ভিসের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। কলেজের তৃতীয় বর্ষ থেকেই সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে, তিনি সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতির জন্য দিল্লিতে চলে যান। বাবা যখন জানতে পারেন মেয়ে শুধু ডাক্তার নয়, সিভিল সার্ভিসের জন্যেও অনেক পরিশ্রম করছেন, তখন বাবাও মেয়ের পরিশ্রম ও নিষ্ঠার কাছে মাথা নত করেন।
সুকন্যা শর্মা দিল্লি পৌঁছে বাজিরাওয়ের কাছে জন্য এক বছরের জন্য প্রস্তুতি নেন। ২০১৭ সালে, প্রি পরীক্ষা দিয়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে মেইন দিয়েছিলেন এবং সেই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ ক্লিয়ার করেন। এক বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি ডিএসপি পদ পান।
সুকন্যা শর্মা যখন প্রশিক্ষণের জন্য মোরাদাবাদের ড. বিআর আম্বেদকর পুলিশ অ্যাকাডেমিতে পৌঁছান, তখন তাঁর ওজন ছিল খুব বেশি। শারীরিক কার্যকলাপ করতে তাঁর খুব অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং শিক্ষকরাও তাঁকে নানা ভাবে সমর্থন করেছেন।
প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ডিএসপি সুকন্যার প্রথম পোস্টিং ছিল আগ্রার ছত্তা থানায়। সিও পদে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি এখানে এক বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে, তিনি পুলিশ সিস্টেমকে ঘনিষ্ঠ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এক বছর পর তিনি আগ্রার ব্যস্ততম থানায় বদলি হন। সেখানে তিনি ৯১ জন মহিলা কনস্টেবলকে এসওজি কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেন। এখন এই মহিলারা কমান্ডো প্রশিক্ষণের দ্বারা বিপজ্জনক অপরাধীদের মোকাবিলা করেন।