পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতা বছর ৪৮ এর বোনকে হত্যা করেন আসফাঁক খান এবং তাঁর স্ত্রী হামিদা। পার্শ্ববর্তী একটি বস্তির একটি ঘরের মালিকানা নিয়ে দুজনের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। সেই থেকেই নিজের বোনকে হত্যা করেছেন আসফাক বলে মনে করছে পুলিশ।
গত ২৬ অগাস্ট খারাডি এলাকা থেকে হাত পা ছিন্ন অবস্থায় মুথা নদীর পাশ থেকে এক মহিলার ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত করে জানা যায় মৃতার নাম সাকিনা খান। যিনি সম্পর্কে ধৃত আসফাকের বোন হন।
advertisement
এই প্রসঙ্গে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার রঞ্জন শর্মা বলেন, “মুথা নদীর পাশ থেকে এক মহিলার ধড় উদ্ধার হয়েছিল। তাঁর শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। অভিযুক্ত সব প্রমাণ লোপাট করে নদীতে ফেলে দেয়।”
আরও পড়ুন: লক্ষ্যে অবিচল, প্লাবিত আহমেদাবাদে হাঁটুজল ঠেলে খাবার পৌঁছে দিলেন ডেলিভারি কর্মী.
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে সাকিনার সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই পুনের শিবাজি নগর এলাকার একটি বস্তির ঘরের মালিকানা নিয়ে বিবাদ চলছিল।
সাকিনা নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান ওই দম্পতি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি মৃতাকে প্রথমে গলায় ফাঁস দেওয়া হয় তারপর তাঁর মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাকি প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (হত্যা) ২৫৮(তথ্য প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে।