TRENDING:

আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরা আপাতত অনিশ্চিত

Last Updated:

গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দর মার্কিন সেনার হাতে ছিল। তারপর পরিস্থিতি বদলেছে। এখন কাবুল বিমানবন্দরে তালিবানদের দখলে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: তালিবান আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল নেওয়ার পর মহাসংকটে পড়েছে ভারত-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ। নিজেদের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে তারা। তালিবানি (Taliban) হুংকার অগ্রাহ্য করেই এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ নাগরিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে ভারত। কিন্তু রয়ে গিয়েছে আরও বেশকিছু ভারতীয় নাগরিক (Indian nationals)। এদিকে, কাবুল বিমানবন্দর (Kabul airport) ছেড়ে চলে গিয়েছে ন্যাটো বাহিনী। বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে তালিবানিরা। বিমানবন্দর এখন অচল। কোনও বিমান ওঠানামা করছে না। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান এ আটকে থাকা অসহায় ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কীভাবে ? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর জানা নেই কারও।
advertisement

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (MEA spokesperson Arindam Bagchi) জানিয়েছেন, "কাবুল এয়ারপোর্ট এখন অপারেশনাল নেই। আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের কবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কাবুল বিমানবন্দর চালু হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।" বিদেশ মন্ত্রকের এই মন্তব্য চিন্তা বাড়িয়েছে আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের (Indian nationals stuck in Afghanistan)। সেই সঙ্গে ভারতে তাদের আত্মীয়দেরও। চলতি সপ্তাহের শেষে আফগানিস্তানে তালিবানি সরকার গঠন হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এদিন আরও জানিয়েছেন, "আফগানিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে ভারতের কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। সরকারিভাবে আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের কোন আমন্ত্রণও মেলেনি।" মন্ত্রকের তরফে এদিন স্পষ্ট করা হয়েছে, "সরকার এখন একটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আর তা হল, আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরানো।"

advertisement

উল্লেখ্য দুদিন আগে, কাতারে তালিবানের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক (India talks to Taliban leader) করেছেন এক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, "আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করে ভারতবিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপ যাতে মদত না পায় তা সুনিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।" অরিন্দম বাগচী (Arindam Bagchi) এদিন স্পষ্ট করেছেন কাতারের ওই বৈঠক তালেবান নেতার কথাতেই হয়েছিল। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, "ওই বৈঠক থেকে ভারত এবং তালিবানের সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বোকামি হবে। তার কারণ অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে তা আগামী দিনের ঘটনাক্রম থেকেই স্পষ্ট হবে।"

advertisement

কাতারে ওই বৈঠকের পর তালেবানের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র (MEA spokesperson) জানান, তালিবান কেন কোনও বিবৃতি জারি করেনি তা তারাই বলতে পারবে। ঘটনা হল গত কিছুদিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে তালিবানদের যে আলোচনা হয়েছে তা তারা প্রকাশ্যে এনেছে কিন্তু ভারতের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি তারা। গত মঙ্গলবার কাতারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

ওদিকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার গঠনের প্রাক্কালে ভারত আরও একবার জানিয়েছে তারা আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে। আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের কিভাবে দেশে ফেরান হবে এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এদিন বলেছেন, "কাবুল বিমানবন্দরে পুনরায় চালু হওয়ার পরেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।" যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত এবং ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনাই প্রধান কর্তব্য বলে মনে করছে সরকার।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরা আপাতত অনিশ্চিত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল