অভিযোগকারী ওই যুবকের নাম লোকেশ মাজি৷ তিরিশ বছরের ওই যুবকের অভিযোগ, একবার নয়, অতীতে একাধিক বার তাঁর স্ত্রী হর্ষিতা রাইকোয়ার তাঁকে মারধর করেছেন৷ শেষ পর্যন্ত গোপন ক্যামেরার সাহায্যে তাঁর উপরে স্ত্রীর নির্যাতনের ছবি রেকর্ড করেন তিনি৷ এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবক৷
advertisement
ওই যুবকের রেকর্ড করা সেই ভিডিও পরে পুরুষদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়৷ সেই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়৷
এনসিএম ইন্ডিয়া নামে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ভিডিও পোস্ট করে সমাজমাধ্যমে লেখা হয়, ‘মধ্যপ্রদেশের অজয়গড়ের বাসিন্দা তিরিশ বছরের লোকেশকুমার মাজির উপরে তাঁর স্ত্রী এবং শাশুড়ি মিলে নির্মম ভাবে অত্যাচার করেন৷ সাতনায় তাঁর নিজের বাড়িতেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ স্বামীদের গার্হস্থ্য হিংসার থেকে রক্ষা করতে ভারতবর্ষে কোনও আইন নেই৷ কারণ গার্হস্থ্য হিংসা আইন অনুযায়ী একজন মহিলাই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে পারেন এবং অভিযোগ করতে পারেন৷ এটা খুবই লজ্জাজনক!’
ওই পোস্টেই আরও লেখা হয়, ‘এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এখন ওই যুবকের স্ত্রী নিজের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইছেন৷ তাঁকে কি আর বিশ্বাস করা যায়?’
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লোকেশ নামে ওই যুবককে তাঁর স্ত্রী হর্ষিতা রীতিমতো কলার ধরে পর পর চড় মারছেন৷ পাশে বসে থাকা এক মহিলা (সম্ভবত যুবকের শাশুড়ি) ওই তরুণী আটকানোর চেষ্টা করছেন৷ তার পরেও লোকেশের স্ত্রী তাঁকে মারতে থাকেন৷
পুলিশের কাছে ওই রেলকর্মী অভিযোগ করেছেন, হর্ষিতার বাবা পেট্রোল পাম্পের একজন কর্মী৷ বিয়ের সময় কোনও পণ নেননি তিনি৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই লোকেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী৷ এমন কি, ওই যুবক নিজের বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও তা নিয়ে আপত্তি ছিল স্ত্রীর৷ বাড়িতে কোনও আত্মীয় বা পরিচিত আসা, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা মারা নিয়েও অশান্তি করতেন তাঁর স্ত্রী৷ বাড়ির কোনও কাজেও হর্ষিতা সাহায্য করতেন না বলে অভিযোগ৷
ওই যুবকের আরও দাবি, পুলিশকে এ সব ঘটনা জানালে নিজের এবং তাঁদের ছোট সন্তানের ক্ষতি করার হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী৷ এর আগে একবার তাঁর স্ত্রী মশা মারার ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বলেও দাবি ওই রেলকর্মীর৷ ভাইরাল ভিডিও-তে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছি৷’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই রেলকর্মীর অভিযোগ এবং তার সঙ্গে ভিডিও তাদের হাতে এসেছে৷ অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷