পুলিশ সুপার নরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর লীলা নামের এক মহিলার রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর খবর পায় জাওয়াজা থানার পুলিশ। তৎপরতা দেখিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেখানকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ২৮ বছরের প্রেমীকাকে জলে ডুবিয়ে খুন, মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা, গুজরাটের ঘটনায় তোলপাড়
advertisement
এ দিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতের ভাই রাজু সিং পুলিশকে জানান যে তিনি তার বোনের মৃতদেহ দেখেছেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান মৃতার ভাই।
রাজু সিং জানান, “লীলার ডান পা ভেঙে গিয়েছে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কাপড় রক্তে ভিজে গিয়েছিল। বোনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।” এ ব্যাপারে পুলিশ হত্যা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্তে পুলিশের সন্দেহ হয় লীলার স্বামী প্রভু সিংকে। এই বিষয়ে পুলিশ প্রভু সিংকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রভু সিং পুলিশকে জানিয়েছে, যে তিনি সন্দেহ করেছিলেন যে তার স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় স্ত্রী লীলাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। অভিযুক্ত প্রভু সিংয়ের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়। সেখান থেকে তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।