কর্নাটকের উমেশ হাদাগাল্লি ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক । তিনি নিজে হৃদরোগে আক্রান্ত । কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা যুদ্ধে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে দিনরাত এক করে নিজের কাজ করে গিয়েছেন তিনি । গত ২৭ মে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বেরিয়ে শরীরটা ভাল লাগছিল না । বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি । ফোনে স্ত্রী’কে জানান সে কথা । স্ত্রী জ্যোতি স্বামীকে স্থানীয় রামদূর্গা হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখান থেকে উমেশকে ধারওয়াদে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু সেখানে যাওযার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় উমেশের ।
advertisement
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষটা চলে যেতেই অথৈ সাগরে পড়েন জ্যোতিদেবী । হাতে টাকা নেই । স্বামীর শেষকৃত্য আটকে যায় । শেষ পর্যন্ত নিজের মঙ্গলসূত্র বন্ধক রেখে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা শুরু করেন সদ্য বিধবা স্ত্রী । এই ঘটনার কথা সরকারের কানে পৌঁছয় । উমেশের পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে কর্নাটক সরকার । মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে জ্যোতির হাতে তুলে দেন ৫ লাখ টাকার অর্থসাহায্য । এমনকি ফোনে জ্যোতিদেবীর সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী ।