গত ১৮ দিনে কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে খুন ১১ জন। মঙ্গলবার সন্ধেয় কুলগামে গণহত্যা। বিভিন্ন পেশা। একটাই মিল-- এঁরা প্রত্যেকেই অন্য রাজ্যে থেকে উপত্যকায় কাজ করতে এসেছিলেন।
সাগরদীঘির শেখ মিরাজও কুলগামে আপেল বাগানে কাজে গিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা বলছে, ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরিতে পরিকল্পনা করেই এগোচ্ছে জঙ্গিরা।
advertisement
আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি গণহত্যা করে রাজ্য ছাড়া করাই উদ্দেশ্য জঙ্গিদের বলে মনে করা হচ্ছে ৷
ট্রাক চালক থেকে আপেল ব্যবসায়ী-- রুটিরুজির জন্য কাশ্মীরে আসা ভিনরাজ্যের মানুষই টার্গেট। মঙ্গলবার রাতে তারই শিকার পাঁচ বাঙালি শ্রমিক
- ২৯ অক্টোবর
কুলগামে মুর্শিদাবাদের ৫ শ্রমিক খুন
- ২৮ অক্টোবর
অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় খুন ট্রাক চালক
- ২৪ অক্টোবর
সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় খুন ২ ট্রাক চালক
- ১৬ অক্টোবর
সোপিয়ানে পঞ্জাবের আপেল ব্যবসায়ী চরণজিৎ সিং খুন
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় খুন ছত্তীসগড়ের শ্রমিক
- ১৪ অক্টোবর
সোপিয়ানে রাজস্থানের ট্রাক চালক খুন
সেনা-পুলিশের পরিবর্তে কেন জঙ্গিদের এই টার্গেট বদল? উপত্যকার অর্থনীতির ৭৫ শতাংশই বাইরে থেকে আসে। বছরের পর বছর ট্রাকে - গাড়িতে চাল, ডাল, ওষুধ সহ অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন ভিনরাজ্যের মানুষই।কাশ্মীরিদের সঙ্গেই যাদের বন্ধত্ব। এটাই কাশ্মীরের কাশ্মীরের কাশ্মীরিয়ত,জামুরিয়ত,ইনসানিয়াত। ৩৭০ ধারা ওঠার পর সবটাই ওলটপালট।