প্রথমত পীযূষের পরিচিতি সর্বস্তরে৷ তৃণমূলের এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় যে সব নেতা রয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই পীযূষ বিশ্বাসের পরিচিত। ফলে দলের সমস্ত স্তরের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করেই এগোনোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন তিনি। অন্যদিকে পীযূষবাবু রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যের তিপ্রামোথা৷ তাঁদের সঙ্গেও আগামী দিনে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে জোড়া ফুল শিবির।
advertisement
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসে একটা বড় সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাদের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়েছে। যেটা হল, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিককে বর্তমানে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং যত দিন পর্যন্ত নতুন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিযুক্ত করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা দৈনন্দিন তৃণমূল কংগ্রেসের কাজকর্ম চালিয়ে যাবে। ত্রিপুরাতে অনেক নতুন সদস্য এবং নেতৃত্ব যোগদান করেছেন, তারা সবাই চাইছেন এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হোক আগামিদিনে যাঁরা সত্যিকারের ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্রিপুরার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করতে পারেন।"
আরও পড়ুন: 'আমিও একজন আইনজীবী...', প্রয়োজনে মামলা লড়তে পারেন, 'বড়' বার্তা দিলেন মমতা
নয়া সভাপতি কে হবেন? এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, " আমরা চেষ্টা করছি খুব শীঘ্রই একজন যোগ্য দক্ষ প্রতিশ্রুতিবান সভাপতি বেছে নেওয়ার, যিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন সেরকম একজন সভাপতিকে নিযুক্ত করার এবং যতদিন পর্যন্ত এরকম কাউকে না পাওয়া যাচ্ছে ততদিন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে চালাব।"