কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে গঙ্গার নীচে তৈরি করা হয়েছে সুড়ঙ্গ৷ আবার কাটরা-শ্রীনগর রেল পথে চেনাব নদীর উপরে গড়ে উঠেছে ৩৫৯ ফুট উঁচু আর্চ রেল ব্রিজ৷ এই দুই প্রকল্পের বরাত পেয়েছিল অ্যাফকনস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা৷ দুটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রজেক্ট হেড হিসেবে দায়িত্বে সামলেছেন গিরিধর রাজাগোপালন৷ তিনি অ্যাফকনস সংস্থার অন্যতম শীর্ষ আধিকারিকও৷
advertisement
গত বছর মার্চ মাসে গঙ্গার নীচে ৫২০ মিটার দীর্ঘ মেট্রোর এই সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ গোটা দেশের মধ্যে গঙ্গার নীচে প্রথম এই ধরনের সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়৷ অনেকদিনই গঙ্গার নীচের ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে হাওড়া এবং শিয়ালদহের মধ্যে মেট্রো চলাচল করছে৷ অ্যাফকনস-এর পক্ষ থেকে জটিল এই প্রকল্পের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন গিরিধর রাজাগোপালন৷
আরও পড়ুন: বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু উদ্বোধন হল দেশে! তেরঙ্গা হাতে হাঁটলেন মোদি, সূচনা নতুন দুই বন্দে ভারতেরও
কলকাতার এই প্রকল্প শেষ হতে না হতেই জম্মু কাশ্মীরে চেনাব নদীর উপরে রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্ব এসে পড়ে এই প্রবীণ ইঞ্জিনিয়ারের উপরে৷ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যে সেতু তৈরি করে রেল চলাচলের উপযোগী করে তোলা এক সময় অসম্ভব মনে হয়েছিল৷ শুক্রবার সেই সেতুর উপর দিয়েই রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
গিরিধর রাজাগোপালন জানিয়েছেন, চেনাব রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্প কঠিন হলেও তাঁর ৪৩ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি এর থেকেও কঠিন প্রকল্প নির্মাণের দায়িত্ব সামলেছেন৷ পাশাপাশি ওই প্রবীণ ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, চ্যালেঞ্জ বেশি ছিল বলেই এই প্রকল্প কাজ করার বেশি উৎসাহ পেয়েছিলেন তিনি৷
রাজাগোপালনের কথায়, ‘এই সেতু নির্মাণের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়৷ ভারতীয় নির্মাণ পরিকাঠামোর ক্ষেত্রের নতুন মানদণ্ড হতে চলেছে এই সেতু৷ গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়া গিয়েছে যে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের এই ধরনের দুরূহ প্রকল্প নির্মাণের দক্ষতা রয়েছে৷’
রাজাগোপালন জানিয়েছেন, চেনাব রেল সেতু এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বিস্ফোরণ এবং জোরাল ভূমিকম্পের ধাক্কাও তা সামলে নিতে পারবে৷ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগ হাওয়া দিলেও তা সহ্য করতে পারবে এই রেল ব্রিজ৷