আসলে এই চেম্বারে বসেন আইনজীবী মহম্মদ তাহির হুসেন। যিনি দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে মামলা লড়েন। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের আর্থিক সহায়তাও দিয়ে থাকেন। ১৯৯০ সাল থেকে ওকালতির কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথমে বিহারের রোহতসে প্র্যাকটিস শুরু করেন। এর পরে দিল্লি হাই কোর্ট, তিস হাজারি কোর্টেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০০০ সাল থেকে শুধুমাত্র গাজিয়াবাদেই কাজ করে আসছেন ওই অভিজ্ঞ আইনজীবী। এর পর ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দিয়েছিলেন তাহির। এক জন আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্ট জেনারেলের সম্পাদকও বটে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোট কীভাবে বদলাবেন, কতদিন সময়? জানুন নিয়ম
এমনকী ২০০৭ সালে নিজের বই কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ল টাইমস (সিএএলটি)-এর রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট, এলাহাবাদ হাইকোর্ট, লখনউ বেঞ্চ, উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল হাইকোর্ট, চণ্ডীগড় হাইকোর্টের মতো আদালতগুলির বিখ্যাত মামলার সারসংক্ষেপ এই বইটিতে লিখেছেন তিনি। এর থেকে অন্যান্য আইনজীবী এবং বিচারকরাও প্রচুর সাহায্য পেয়ে থাকেন।
আবার মামলা লড়তে গিয়ে কিংবা মামলা চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার ভয়ে পিছিয়ে আসে সাধারণ মানুষ। এই ভয়টা মানুষের মন থেকে দূর করার জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন আইনজীবী তাহির। তাঁর কথায়, “দরিদ্র কিংবা মধ্যবিত্তরা আদালতকে সাধারণত খুবই ভয় পায়। অনেকে আবার মামলা লড়তে নামলেও সময় এবং মোটা ফি-এর ভয়ে মাঝপথেই সেই লড়াই ছেড়ে পালিয়ে যান।
যাতে অর্থের জন্য কাউকে আইনি লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালাতে না হয়, তার জন্য আমি বিনামূল্যে মামলা লড়ি। এমনকী নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহায়তাও প্রদান করি। চেম্বারের বাইরে ঝোলানো বোর্ড পড়ে অনেকেই ভিতরে ঢুকে বিষয়টা জিজ্ঞাসা করেন। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষকেই সাহায্য করেছি। আর ভবিষ্যতেও আমার এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।”