আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার লাগাতার আট শতাংশের উপর থাকতে হবে। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই। উল্টে
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল-জুন, এই তিন মাসে জিডিপি ছিল ৮ শতাংশ ৷ যা চলতি আর্থিক বছর কমে হল ৫ শতাংশ ৷ এর আগের তিনমাসে অর্থাৎ, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চেও জিডিপি ছিল পাঁচ দশমিক আট শতাংশ এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চে বৃদ্ধির হার চার দশমিক তিন শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। তারপর এই প্রথম জিডিপি এত কম।
advertisement
জিডিপি এ ভাবে কমার পিছনে একাধিক কারণ তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। গাড়ি থেকে বিস্কুট, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই উৎপাদন কমেছে। চাহিদা না থাকায় বাজারের বেহাল অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগেরও আকাল। যার জেরে অর্থনীতি ঝিমোচ্ছে। জিডিপিও তলানিতে। মোদি সরকার অবশ্য চিন-আমেরিকাকে দেখাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে উৎপাদন ক্ষেত্রে যেখানে ১২ দশমিক এক শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল, তা এই আর্থিক বছর একেবারে তলানিতে। মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ ৷ কৃষিতে গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল পাঁচ দশমিক এক শতাংশ। যা এবার কমে হয়েছে দুই শতাংশ এ ছাড়াও, নির্মাণ, হোটেল, পরিবহণ, রিয়েল এস্টেটের মতো ক্ষেত্রেও গতবারের থেকে এবার বৃদ্ধির হার কমেছে