এদিন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ইন্দো ভুটান রিভার কমিশন কি কেন্দ্র করছে? তার উত্তরে সরাসরি ‘না’ বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। এদিন সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে প্রতি বছর মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে ভেসে যায় উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স সন্নিহিত এলাকা। রাজ্যের আবেদন জেনেও কেন্দ্র মানুষকে সহযোগিতা করতে রাজি নয়।
advertisement
ভুটানের পাহাড়ি নদী মানেই বর্ষার আতঙ্ক উত্তরবঙ্গে। নীচে নামার স্রোতের তোড়ে যা ভাসায় চা বাগান থেকে জনবসতি। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাসের পরিকাঠামোর অভাবেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সমস্যার সমাধানে এবার রাজ্যের সেচ দফতর ভুটানে রেনগেজ স্টেশন বসানোর ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে। তা না হলে বন্যাজনিত কারণে উত্তরবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা কঠিন হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা। প্রতি বছরই তিস্তা, তোর্ষা, সঙ্কোশ, রায়ডাকের মতো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী বর্ষায় ভুটান থেকে নামা জলে প্লাবিত হচ্ছে বলে শোনা যায়। সেচ দফতর জানাচ্ছে, ৭৬টি নদী ভুটান থেকে নেমে এ দিকের নদীর সঙ্গে মিশেছে। ভুটান থেকে ডলোমাইট ভাঙতে ভাঙতে নামার কারণে উত্তরবঙ্গের বহু নদীর নাব্যতা কমে গিয়েছে বলেও দাবি সেচ দফতরের।
উত্তরের বন্যা সামলাতে ইন্দো-ভুটান যৌথ রিভার কমিশন! বিধানসভায় প্রস্তাব আনে রাজ্য। রায়ডাক,সঙ্কোশ, কালচিনি প্রভৃতি একাধিক নদী ভুটান থেকে আসে। এই সব নদীর জল বাড়তেই ডুয়ার্সের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান প্রতিনিধিরা। চা বাগান, কৃষি জমি, বনাঞ্চলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ভুটানের আপার ক্যাচমেন্টে জল ধারণের সমস্যা। ডুয়ার্স বাঁচাতে অবিলম্বে কেন্দ্র সাহায্য করুক, প্রস্তাব রাজ্যের।তিস্তার সমস্যা নিয়েও আলাদা করে কথা ওঠে। তিস্তায় একাধিক বাঁধের কারণে উত্তরের একাধিক স্থান সমস্যায়।
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পংয়ের অবস্থা প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে। সব সমস্যার সমাধান হতে পারে যদি ইন্দো-ভুটান জয়েন্ট রিভার কমিশন গঠন করা হয়।ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন জরুরি। ভুটান থেকে নেমে আসা ৭১টি নদী আলিপুরদুয়ারে প্রতি বছর প্রচুর ক্ষতি করছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অন্তত ১০ বার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। আলিপুরদুয়ার জেলা শহর ও শহরের আশপাশের নীচু এলাকাগুলিতে জল জমে। নীচু এলাকাগুলিতে জিপিএস সমীক্ষা হচ্ছে।