উল্লেখ্য, পেগাসাস-কাণ্ডে রাজনৈতিক নেতা, বিচারপতি, আইনজীবী ও সাংবাদিক -সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টেলিফোনে আড়িপাতার ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এম বি লকুরের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন করে রাজ্য সরকার।গত জুলাই মাসে দিল্লি যাওয়ার আগেই সেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে 'গ্লোবাল ভিলেজ ফাউন্ডেশন পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এ দিন আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, সংস্থাটি আরএসএস ঘনিষ্ঠ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এর আগে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানায়, রাজ্যে তৈরি এই কমিশনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের তৈরি এই তদন্ত কমিশনের কাজে সুপ্রিমকোর্টের মামলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। রাজ্য যুক্তি দেয়, এটি কোনও সাধারণ কমিটি নয়। তাছাড়া রাজ্য সরকারের উপরে সাধারণ মানুষের ভরসা ও বিশ্বাস অটুট রাখতে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
advertisement
পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, পেগাসাস নিয়ে রাজ্য সরকারের কমিশন গড়ার বিজ্ঞপ্তি খারিজ করা হোক। পেগাসাস কাণ্ডে সর্বোচ্চ আদালতে যখন মামলার শুনানি শুরু হয়েছে তখন কোনও একটি রাজ্য পৃথকভাবে তদন্ত করতে পারেনা। এ বিষয়ে রাজ্য তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি করেন সালভে।
এর পরেই রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শীর্ষ আদালতকে আশ্বাস দেন, যতদিন সুপ্রিম কোর্টের মামলার শুনানি চলবে ততদিন রাজ্যের তৈরি কমিশন কোনও পদক্ষেপ করবে না। আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, আগামী দু'- এক সপ্তাহ মনে হয় না কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, এখনই এ বিষয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ না দিতে সর্বোচ্চ আদালতকে অনুরোধ করেন সিংভি। তিনি জানান, পুরো বিষয়টি তিনি রাজ্য সরকারকে জানাবেন। এই সময় প্রধান বিচারপতি এনভি রামন বলেন, পেগাসাস ইস্যুতে আরও অনেকগুলি আর্জি রয়েছে। তাই এই মামলায় কোনও নির্দেশ জারি করলে সেই মামলাগুলিতে প্রভাব পড়তে পারে ।এদিকে সুপ্রিম কোর্ট ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্জিকে মূল পেগাসাস মামলার সঙ্গে যুক্ত করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে।