দেশের বাসিন্দা হয়েও রাতারাতি শরণার্থী ৪০ লক্ষ মানুষ ৷ অসমের দ্বিতীয় খসড়া এনআরসি-তে চল্লিশ লক্ষ মানুষের নামে লালকালির দাগ। কার্যত রাতারাতি উদ্বাস্তু হয়ে গেলেন চল্লিশ লক্ষ মানুষ। মোট তিন কোটি তিরিশ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে দু’কোটি নব্বই লক্ষের নাম।বাকিরা যাবেন কোথায়? অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কায় বহু মানুষ।
অসমে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মঙ্গলবারও সরগরম সংসদ। লোকসভার থেকে এদিন বেশি উত্তপ্ত ছিল রাজ্যসভা। ছ’মাসের মধ্যে সংখ্যার হেরফের। এই অভিযোগ করে সরকারের উপর চাপ বাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন
সরকার পরিবর্তনের হাওয়ায় এবার বন্ধ হতে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের স্থায়ী পিএফ, পেনশন
এরপরেই খাপ থেকে তলোয়ার বার করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে পাশে নিয়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি গঠনে ঘুরিয়ে আঙুল তুললেন কংগ্রেসের দিকে। ঝুলি থেকে বার করলেন ১৯৮৫ সালে ১৪ অগাস্ট তৎকালীন রাজীব গান্ধি সরকারে সিদ্ধান্তের কথা।বলেন, একইভাবে অসমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল রাজীব গান্ধী সরকার ৷ কিন্তু জাতীয় নাগরিক পঞ্জি কার্যকর করার মতো সাহস তিনি দেখাতে পারেননি ৷ বর্তমান বিজেপি সরকারের হিম্মত রয়েছে ৷ তাই কংগ্রেসের সেই পথেই হেঁটে NRC বাস্তব করার মতো সাহস দেখিয়েছে কেন্দ্র ৷
অমিতের এই মন্তব্যের পরেই ফেটে পড়ে রাজ্যসভা। কংগ্রেস তো বটেই তাদের প্রতিবাদে সমাজবাদী পার্টিকেও পাশে পেয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি ছাড়াই বন্ধ হয় রাজ্যসভা। এরমধ্যেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়ানাইডুর মন্তব্য, ভগবানই পারেন ভারতের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে।