advertisement
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উদুপির কুন্দপুর সরকারি পিইউ কলেজে হিজাব পরে এসেছিল কয়েকজন ছাত্রী। সেই কারণে ২৫ জন ছাত্রীকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কিছু পড়ুয়া আবার গেরুয়া পোশাক পরে কলেজে আসে। বিষয়টি গড়ায় আদালতেও। তবে, তাতেও উত্তেজনা কমেনি।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস না থাকলে কী হত? সংসদে তালিকা পেশ মোদির, ঢাল করলেন মহাত্মা গান্ধিকে
উদুপির ঘটনার পর কর্ণাটকের বিজয়পুর, চিক্কাবল্লপুর, চিক্কামাগালুরু এবং হাভেরি এলাকার বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়াদের অনেকে বোরখা পরে আসেন। কেউ আবার আসেন পালটা গেরুয়া পোশাক পরে। এমনিতেই করোনা আবহে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল। তার মধ্যেই এই বিতর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি তার স্বাভাবিক চেহারা হারিয়ে ফেলে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন অধ্যাপক-সহ কলেজগুলির কর্তা এবং অভিভাবকরা। এমনকী পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সোমবার কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অনেক জায়গায়।
আরও পড়ুন: পাশেই থানা, সিসিটিভি-র তার কাটা! ফের হাবড়ায় যা ঘটল, আতঙ্কে কাঁপছে এলাকাবাসী
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করেছে, কলেজে ইউনিফর্ম পরে আসা বাধ্যতামূলক। সেই ইউনিফর্মের মধ্যে হিজাব থাকছে কিনা, তা অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই জানান, হিজাবের ঘটনাটি যেহেতু আদালত দেখছে, তাই এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। আদালত এই বিষয়ে শুনানি করে রায় ঘোষণা করবে। আদালতের শুনানির পর রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, ''হিজাব ঘটনাটির পিছনে কোনও সক্রিয় শক্তি কাজ করছে। কারণ আগেও কেরল ও মহারাষ্ট্রে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল।''
এদিকে, কর্ণাটকের হিজাব নিয়ে বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ''সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই স্কুল বা প্রশাসন দ্বারা নির্ধারিত ড্রেস কোড অনুসরণ করতে হবে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কারা ছাত্রদের উসকানি দিচ্ছে।''