লাইভে থেকেও অদ্ভুত সব কাণ্ড-কারখানা নজরে এসেছে। কেউ জেনে-বুঝে করেছেন। কেউ আবার বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। এমনই এক ঘটনার শিকার হলেন পটনার আইনজীবী ক্ষত্রশল রাজ (Kshatrashal Raj)। Zoom-এ ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন পটনা হাইকোর্টের এই আইনজীবী ব্যস্ত হয়ে পড়েন লাঞ্চে। সিস্টেমের ক্যামেরা অফ করতেই বেমালুম ভুলে যান। পরে সলিসিটর জেনারেলের ফোনে হুঁশ ফেরে তাঁর।
advertisement
ছোট্ট এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আইনজীবী ক্ষত্রশল রাজের কোনও হুঁশ নেই। সেশন তখনও জারি। কিন্তু তা যেন বেমালুম ভুলে গিয়েছেন তিনি। ক্যামেরায় সামনেই খাবারের থালা নিয়ে মন ভরে খেতে ব্যস্ত। এমন সময় কলের ওপারে দেখা যায় দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে (Tushar Mehta)। কলের মাঝেই আইনজীবী রাজকে ইঙ্গিত করে বোঝাতে থাকেন তিনি। বোঝানোর চেষ্টা করেন, লাইভ চলছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! শেষমেশ আইনজীবীকে ফোন করেন সলিসিটর জেনারেল। ফোন বাজতেই টনক নড়ে আইনজীবীর। তড়িঘড়ি থালাটা সরিয়ে রেখে পরিস্থিতির সামাল দিতে চেষ্টা করেন। কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। ভিডিওতে আইনজীবীর মুখ দেখে, সেই বিষয়টিও যেন বার বার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্য দিকে, খানিকটা মজা করে মেহতা বলে ওঠেন, ইহাঁ ভেজো..।
ইতিমধ্যেই ব্যাপক মাত্রায় ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। বিশেষ করে তুষার মেহতার ইহাঁ ভেজো কথাটা নিয়ে একের পর এক মিম তৈরি হয়েছে। তবে নেটিজেনদের একাংশ পুরো বিষয়টিকে ভালো ভাবে নেননি। তাঁদের কথায়, এটি চূড়ান্ত মাত্রার অপেশাদারিত্বের উদাহরণ।
https://twitter.com/mayursejpal/status/1367711431152394243
https://twitter.com/malhar_pandey/status/1367711996372684803
https://twitter.com/Dilljaley/status/1367719126978883585
https://twitter.com/Pranavsinh9/status/1367732032525103108
https://twitter.com/TheCivilEngr94/status/1367722274481086465
প্রসঙ্গত, Zoom-এ আজকাল প্রায়শই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। দিন কয়েক আগেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মাসের শুরুর দিকে একই ঘটনা ঘটে। Zoom-এর মাধ্যমে টেক্সাসের ৩৯৪ তম জুডিসিয়াল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের ভার্চুয়াল শুনানি চলছিল। উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি রয় ফার্গুসন (Roy Ferguson)। এমন সময় আইনজীবীদের পাশাপাশি ডানদিকের নিচের একটি ভিডিও উইন্ডোতে বিড়াল লক্ষ্য করা যায়।
এই ভিডিও ঘিরেই পরে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়। আসলে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল রড পন্টনের (Rod Ponton) জায়গায় ছোট্ট নীল চোখের ওই বিড়ালটিকে দেখা গিয়েছিল। কারণ অ্যাপের ক্যাট ফিল্টার অন ছিল। তড়িঘড়ি বিচারপতি বল ওঠেন, পন্টন যেন তার ক্যাট ফিল্টারটি বন্ধ করেন এবং সুস্থ ভাবে শুনানি শুরু করা যায়। অন্য দিকে, ও প্রান্ত থেকে পন্টন চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, তিনি বিড়াল নন। দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর সহকারী বিষয়টি ঠিক করার চেষ্টা করছেন৷