টয়োটা ফর্চুনার গাড়ির ব্যাপারে পুলিশ এমন সব প্রশ্ন করেছিল আরটিও-র অপিসারদের। সেই গাড়ির মালিক ভবেশ প্যাটেল। অতীতেও যাঁর নামে একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তিনি একজন সরকারি আমলা। সাধারণত কোনও গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করলে সেটির ফিটনেস সার্টিফিকেট-এর ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দেয় আরটিও। সেই গাড়িতে ধর্ষণ করার মতো জায়গা রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্ন তোলার অধিকার পুলিশের নেই। আর এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে আরটিও অফিসাররা বাধ্যও নন। জানা গিয়েছে, ২৬ অথবা ২৭ এপ্রিল রাতের দিকে ওই গাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে ৩০ এপ্রিল। এর পরেই অভিযুক্তকে ২ মে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত।
advertisement
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও ১৮ টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন রকম অপরাধপ্রবণতা রয়েছে সেই ব্যক্তির।
কিন্তু হঠাৎ করে আরটিও-কে কেন এমন প্রশ্ন করে বসল পুলিশ! এই ধরনের প্রশ্ন করার তো কোনো অধিকারই নেই পুলিশের। ক্রাইম ব্রাঞ্চ-এর এক অফিসার অবশ্য দাবি করেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্তে নেমে ছিলেন। সব দিক খতিয়ে দেখতে চাইছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাই গাড়ির পিছনের সিটে ধর্ষণ হওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি ছিল। তাছাড়া গাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে পীড়িতা মহিলা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ছিল পুলিসের। সেক্ষেত্রে গাড়ির সেন্ট্রাল লক সিস্টেম কেমনভাবে কাজ করেছিল, সেই তথ্যও জানতে চেয়েছিল পুলিস। আর সবটাই হয়েছে তদন্তের স্বার্থে।