সুঁজওয়ানের পর কাশ্মীরের করণনগর। বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে পরপর দুটি বড়সড় জঙ্গি হামলা। করণনগরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে সোমবার ভোর চারটে নাগাদ হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় এক সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। পরপর দুটি হামলারই দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর এ তইবা। জঙ্গি হামলা নিয়ে আগাম সতর্কতা সত্বেও তা রুখতে ব্যর্থ সেনা ও রাজ্য প্রশাসন। লাগাতার জঙ্গি হামলা মোকাবিলার পথ কী? এই প্রশ্নে কার্যত দিশাহারা প্রশাসন। অগত্যা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধ করতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনাকেই একমাত্র পথ হিসেবে দেখছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
advertisement
যদিও পুরনো অবস্থানেই বিজেপি। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দাবি উড়িয়ে বিজেপি নেতা রাম মাধব জানিয়েছেন, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। কাশ্মীরে জঙ্গিরা দাপিয়ে বেড়ালেও জম্মুকে সেভাবে টার্গেট করেনি তারা। কিন্তু এবার জম্মুকেও নিশানা করেছে তারা। গোটা জম্মু-কাশ্মীরই এখন জঙ্গিদের নিশানায়। এজন্য সরকারের কাশ্মীর নীতিকেই দুষেছে কংগ্রেস।
জম্মু-কাশ্মীরে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জঙ্গি হামলার জেরে সেই নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন পিছোনর সিদ্ধান্ত নিতে পারে মুফতি সরকার। মত আছে বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেসেরও। তবে পনেরোই ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। পঞ্চায়েত ভোট পিছোলে বা স্থগিত হলে বিজেপির অস্বস্তি কয়েকগুন বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।