এবার সামনে এল চলন্ত আম গাছের কথা। যেমন-তেমন আম গাছ নয়। এই গাছটি না কি প্রায় ১৩০০ বছর আগে জন্মেছিল। গত দুই শতাব্দীতে সেই গাছটি না কি ২০০ মিটার সরে গিয়েছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে শোরগোল।
কোথায় রয়েছে এই গাছ?
গুজরাতের বালসার জেলার সানজান গ্রামেই রয়েছে এই সুপ্রাচীন রসালতরু। সেই সুবৃহৎ গাছটি সম্পর্কেই এমন কথা প্রচলিত। ১৩০০ বছরের প্রাচীন গাছটি এখনও বিদ্যমান আর গত ২০০ বছরে সে ২০০ মিটার সরে গিয়েছে তার প্রাচীন অবস্থান থেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শতাধিক বছর ধরে একটু একটু করে গাছটি মাটির সমান্তরালে বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
লোক মুখে প্রচলিত কাহিনি থেকে জানা যায়, গাছটি প্রায় তেরশো বছর আগে এই অঞ্চলে রোপণ করেছিল পার্সিরা। সেই সময়ই ওই সম্প্রদায়ের মানুষে গুজরাতের এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। ৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জরাথ্রুস্টান উদ্বাস্তু হিসেবে তারা গুজরাতে বসতি স্থাপন করে। খোরশান অঞ্চলে তাদের শহরের নামের সঙ্গে মিল রেখে এই অঞ্চলের নাম রাখা হয় সানজান।
সানজানেই ওয়ালি আহমেদ আজু নামে কৃষকের খেতে রয়েছে আম গাছটি, যার ডালপালা থেকে ভূমির সমান্তরালে কাণ্ড বের হয়ে এগিয়ে চলেছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গাছটি ক্রমশ পূর্বদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আদিবাসীরা এই গাছকে দেবতার জ্ঞানে পূজা করেন।
সাধারণত গাছের চলন সূর্যের আলোর দিকেই হয়ে থাকে। সেই অর্থে পূর্বদিকে গাছের চলন ঘটতেই পারে। তবে প্রকৃতির এই অদ্ভুত খেয়াল অবাক করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।