আপাতত সারসটি আছে কানপুর চিড়িয়াখানার এনক্লোজারে। বনে ছাড়ার আগে ১৫ দিন তাকে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার মনোকষ্ট দেখে নিজেও ভেঙে পড়েছেন আরিফ। প্রিয় পাখির ওই হাল দেখে তিনি কেঁদে ফেলেন। এত দিন তাঁর বাড়িতে থেকে রান্না করা খাবার খেতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল পাখিটি। কিছুতেই কাঁচা খাবারের অভ্যাসে ফিরতে পারছে না সে। এদিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তাকে কাঁচা খাবারের অভ্যাসে ফিরিয়ে আনতে।
advertisement
মানুষ-পাখির এই দ্বন্দ্বে লেগে গিয়েছে রাজনৈতিক রং। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব গিয়েছিলেন আরিফের বাড়িতে। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই বন দফতর পাখিটিকে নিয়ে গিয়েছে। আরিফের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় গিয়ে পাখিকে দেখেও আসেন অখিলেশ। অন্যদিকে বন দফতরের দাবি, তাঁরা শুধু মানুষের সঙ্গ ছাড়িয়ে সারসকে ফিরিয়ে দিতে চান মুক্ত বন্য পরিবেশে।