ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের করৌলি জেলার কাইমকাচ গ্রামে। ২৬ বছরের বান্নে সিং একজন গবাদি পশুপালক। তার স্ত্রী সুবিমল বাই। বান্নে সিং ও তার স্ত্রী নদীর ধারে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন। ছাগলকে জল খাওয়ানোর সময় হঠাৎই এক বিশালাকার কুমির তার উপর হালমা করে। বান্নে সিং পা কামড়ে টেনে নদীতে নিয়ে যেতে থাকে। সেই সময় বিষয়টি নজরে আসে সুবিমল বাইয়ের। স্বামীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য আশাপাশে কাওকে না পেয়ে নিজেই সামান্য একটি লাঠি ঝাপিয়ে পড়েন 'যুদ্ধে'।
advertisement
চম্বল নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে কুমিরটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন ওই মহিলা। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে মানুষ-কুমিরে লড়াই। কিন্তু লাঠির আঘাতে কোনও মতই স্বামীকে কুমিরের চোয়াল থেকে মুক্ত করতে পারছিলেন না সুবিমল। সেই সময় উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে লাঠি দিয়ে কুমিরের সজোরে আঘাত করেন ওই মহিলা। চোখে আঘাত পেতেই কুমিরটি ছটফট করে ওঠে ও তার চোয়াল খুলে যায়। সেই মুহূর্তে স্বামীকে কোনও মতে প্রাণে বাঁচিয়ে নেন সুবিমল। এরপর আহত বান্নে সিংকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুনঃ Viral News: ডিভোর্সের পরও একসঙ্গে ডেটিং, হোটেলে সময় কাটান যুগল, কারণ জানলে অবাক হবেন
কুমিরের হাত থেকে স্বামীর প্রাণ বাঁচিয়ে বর্তমানে নেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ওই মহিলা। তিনি জানিয়েছেন,"আমি আমার নিজের জীবনের কথা ভাবিনি। কেন জানিনা সেই সময় আমার কোনও ভয়ও লাগেনি। আমি কেবল আমার স্বামীর জীবন বাঁচানোর কথা ভেবেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যেভাবেই হোক আমার স্বামীর জীবন রক্ষা করতে হবে।" এই ঘটনার পর সুবিমলকে পুরস্কৃত করার দাবিও জানিয়েছেন অনেকে। তবে সুবিমল খুশি স্বামীর বাঁচিয়েই।