সারান জেলার মাঞ্জিতে অবস্থিত ভাবাউলি গ্রামের বাসিন্দা রামু বিনের বড় মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ছাপড়া শহরের বিন্টোলির বাসিন্দা জগমোহন মাহাতোর ছেলে রাজেশ কুমারের। বিয়ের দিন ব্যান্ড-বাজা নিয়ে হাজির হয়েছিল বরযাত্রী। নিজের সাধ্যমত বড় মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন রামু বিন। কিন্তু আসরে যে বড় মেয়ের নয়, তার ছোট মেয়ের বিয়ে হবে তা ভাবতেও পারেননি।
advertisement
বরযাত্রী আসার পর শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জয়মালার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। শুরু হয়ে যায় বিয়ের অন্যান্য অনুষ্ঠানও। রাত ১১ টার দিকে কণের ছোট বোন ছাদে উঠে পাত্রকে ফোন করেন। ফোনে করে ছাদে ডেকে রীতিমত হুমকি দিয়ে বলেন যে দিদিকে নয় তাকে বিয়ে করতে হবে। আর তা না হলে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন তিনি। এমন ফোন পেয়ে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পাত্র।
পাত্রও তড়িঘড়ি বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোণে পক্ষের লোক তো রেগে লাল। উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে তা বাগবিতণ্ডায় পৌছে যায়। পাত্রও সেই সময় শ্যালিকাকে বিয়ে করতে রাজি। প্রশ্ন ওঠে যে তাহলে কী আগে থেকেই শ্যালিকার সঙ্গে পাত্রের কোনও সম্পর্ক ছিল? এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। পাত্র পক্ষ ও কন্যা পক্ষের মধ্যে হয় তুমুল মারামারি।
আরও পড়ুনঃ Karnataka Assembly election 2023: ‘মহাদেবের’ মহা কীর্তি, ১০৩ বছরে দিলেন ভোট, নাগরিক অধিকার বলে কথা
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর পুলিসের দ্বারস্থ হয় পাত্র পক্ষ। খবর দেওয়া হয় পঞ্চায়েতে। পুলিস ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়। পাত্র ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞেস করা হয় তারা একে অপরকে বিয়ে করতে রাজি কিনা। দুজনেই সম্মতি দেন। এরপর ফের বিয়ের খোঁজ শুরু হলে পুরোহিতর পাত্তা মেলে না। ঝামেলা ও মারামারি দেখে চম্পট দেন পুরোহিত।
শেষে কোনও উপায় না পেয়ে দুই বাড়ির লোকজন, পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে শ্যালিকাকে সকলের সামনে সিঁদুর দান করে বিয়ে করেন রাজেশ কুমার। বোনের বিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে দেখেন দিদি। বিয়ের পর দুজনকেই বেশ খুশি দেখায়। কিন্তু হঠাৎ কেন ওই তরুণি এমন ঘটনা ঘটালেন দিদির বিয়ের আসরে তার আসল কারণ অজানা সকলের।