আরও পড়ুনঃ UTS অ্যাপে বড় বদল! থাকল না ২০ কিলোমিটারের গন্ডি! টিকিট কাটুন যে কোনও জায়গা থেকে
আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে ওই পাঁচ তরুণের মারুতি সুজুকি ব্রেজা গাড়িটি আনন্দ জেলার কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আর গোটা এই ঘটনা ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। আসলে এই সফরের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইনস্টাগ্রামে লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন গাড়িতে থাকা এক তরুণ। সেই সময়ই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
advertisement
বর্তমানে ওই দুর্ঘটনার মুহূর্তটিই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির মধ্যে রীতিমতো পার্টিতে মত্ত ছিলেন ওই পাঁচ জন। তারস্বরে বাজছিল গান। হইহুল্লোড়ও সমান তালে চলছিল। এমনকী ঘণ্টা প্রতি ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে কীভাবে গাড়ি চালাতে হয়, তা ফলোয়ারদের সামনে তুলে ধরতেই লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেছিলেন এক যুবক। এরপর দেখা যায়, গাড়ির স্পিডোমিটারের উপর ক্যামেরা ফোকাস করেছেন তাঁরা। একজন আবার বলেন, ‘দেখুন কীভাবে গাড়িটি চলছে!’ কিন্তু এই আনন্দের সফরই মুহূর্তের মধ্যেই মর্মান্তিক হয়ে ওঠে।
আসলে ওই গাড়ির চালকের আসনে থাকা যুবক একের পর এক ট্রাক কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময়কার মুহূর্তটাও ক্যামেরা জ্যুম করে তুলে ধরেছিলেন। দেখা যায়, সেকেন্ডের মধ্যে ডানে বাঁয়ে ট্রাকগুলিকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল গাড়িটি। এরপর সামনে আসা আচমকা কোনও বাধা এড়ানোর জন্য চালককে অন্য দিকে সরতে হয়েছিল। ফলে সজোরে ব্রেক কষতে হয়। এরপরেই তীব্র ধাক্কার শব্দ শোনা যায় এবং সবটা অন্ধকার হয়ে আসে।
জাতীয় এক সংবাদমধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২ মে ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রাত ৩টে ৩০ মিনিট থেকে ভোর ৪টে ৩০ মিনিটের মধ্যে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত দুই তরুণের নাম আমান মেহবুবভাই শেখ এবং চিরাগকুমার কে প্যাটেল। এঁরা দুজনেই আহমেদাবাদের বাসিন্দা। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই গাড়ির চালক মুস্তাফা ওরফে শাহবাদ খান পাঠানের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে গাড়ির চালানোর জন্য মামলা রুজু করেছে পুলিশ।