মন্ত্রীসভা গঠনের ইচ্ছা নিয়ে শনিবার রাজ্যপাল ওপি কোহলির সঙ্গে দেখা করেন ষাটোর্ধ্ব বিজয় রূপানি ৷ এরপর রবিবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ রাজ্যপালের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজয় রূপানি ৷
একইসঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এদিন শপথ নিলেন নীতিশ পটেল সহ ২৩ জন মন্ত্রী ৷ গান্ধীনগরে শপথ গ্রহণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, লালকৃষ্ণ আডবানী ও অরুণ জেটলির মতো বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা ৷
advertisement
আনন্দীবেন পটেলের ইস্তফাপত্র জমা পড়ার পর উত্তরসূরির লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন নীতিশ পটেল ৷ সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেনেরও সমর্থন ছিল নীতিশের দিকেই ৷ এমনকী স্বয়ং অমিত শাহের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা নিয়েও গুজব রটেছিল ৷ কিন্তু অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ বিজয় রূপানিকেই শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেয় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
বছরখানেক ধরে ওবিসি কোটায় সংরক্ষণের দাবি নিয়ে সরব গুজরাতের পটেল সম্প্রদায় ৷ দলিত ইস্যু নিয়েও উত্তপ্ত গুজরাতের রাজনীতি ৷ এমতাবস্থায় গুজরাতের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে জৈন সম্প্রদায়ভুক্ত বিজয় রূপানিকেই বেছে নেওয়াটা ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল ৷ এই অস্থির সময়ে আরএসএস-এর হাত ধরে রাজনীতিতে আসা বিজেপি নেতা বিজয় রূপানির ঘাড়ে বড়সড় একটা দায়িত্বই চাপিয়ে দিল গেরুয়া দল ৷