যে বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা-সহ ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ না মেটানোর অভিযোগ, দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলি যাকে হাতে পেতে মরিয়া, সেই
বিজয় মালিয়া এখন ব্রিটেনে বহাল তবিয়তে ঘুরছেন। একইসঙ্গে বড় গলা করে ওই সাক্ষাৎকারে মালিয়া দাবি করেছেন, ২০১৬ সালে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়েছিলেন শুধু। কিন্তু তারপর ফেরা হয়নি। সেটার বৈধ কারণ রয়েছে।”
advertisement
পলাতক শিল্পপতির আরও দাবি, “আমি দেশ ছেড়ে পালাইনি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে দেশ ছেড়েছিলাম। তারপর ফিরিনি যে সমস্ত কারণে, তার যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। আপনি যদি তারপর আমাকে পলাতক বলতে চান তো বলুন। কিন্তু চুরি ব্যাপারটা এল কোথা থেকে? চোর শব্দটা আমাকে বলবেন না।”
প্রসঙ্গত, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-সহ (SBI) একাধিক ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ব্রিটেনে গা ঢাকা দেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্ণধার। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই তাঁকে দেশে প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আইনি মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ১ লিটার ‘পেট্রোলে’ সরকার কত টাকা ‘আয়’ করে জানেন…? চমকে দেবে ‘আসল’ হিসাব!
২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে বাস করছেন মালিয়া। তবে তাঁর দাবি, তিনি কোনও চুরি করেননি। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০০৮ সালে কিংফিশার বিমান সংস্থার বেহাল দশা হয়। সে কারণে ঋণ মেটাতে পারেননি। তবে সেটা চুরি নয়।”
পডকাস্টে রাজ শামানি প্রশ্ন করেন, এর পর কি ভারতে ফিরতে চান? জবাবে বিজয় মালিয়া বললেন, “আমাকে যদি আশ্বস্ত করা হয়, যে আমাকে স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে দেখা হবে। স্বচ্ছ্বভাবে জীবনযাপনের অধিকার দেওয়া হবে। তাহলে তিনি দেশে ফেরার ব্যাপারে ভাবতেই পারেন।” এ প্রসঙ্গে ভারতীয় জেলগুলির বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত ব্রিটেনের একটি হাই কোর্টের রায়ের কথাও মনে করান মালিয়া। ওই ব্রিটেনের আদালত ভারতের জেলগুলির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে। মালিয়ার এই সব মন্তব্য নিয়ে সরকারিভাবে ভারত সরকার এখনও মুখ খোলেনি।