হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকের দাবি কিন্তু একেবারেই আলাদা। গত ১৭ জানুয়ারি রাতে কী ঘটেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড বুকেই নথিভুক্ত তা নথিভুক্ত করেছিলেন ওই চিকিৎসক। সেই রেকর্ড বুক প্রকাশ্যে আসতেই নতুন বিপদে স্মৃতি।
চিকিৎসকের বয়ান:
'আমি সন্ধে ৭.২০ নাগাদ ফোন পাই। রোহিত আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে আমাকে জানানো হয়্। আমি রোহিতের বন্ধু উমার ঘরে পৌঁছই। নিরাপত্তাকর্মীরা রোহিতকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেছিল। আমি পৌঁছনোর ১০ মিনিটের মধ্যেই রোহিতের মৃত্যু হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাটা উপাচার্যকে জানাই। আন্দাজ সাড়ে ৭ টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছিল। ডেথ সার্টিফিকেটেও তাই লেখা আছে।'
advertisement
চিকিৎসকের কথা যদি সত্যি হয়, তা হলে সংসদে দাঁড়িয়ে কী ভুল বলেছিলেন স্মৃতি ? নাকি গোটা ঘটনাটা না জেনেই লোকসভায় বিবৃতি দেন? স্মৃতির দাবি যে কতটা ঠুনকো, তার প্রমাণ রয়েছে চিকিৎসকের মন্তব্যেই।
ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার রাজশ্রী যে রোহিতের মৃতদেহের সামনে ছিলেন, তা নিশ্চিত করেছিলেন চিফ মেডিক্যাল অফিসার রবীন্দ্র কুমারও। গোটা ঘটনা জানিয়ে নিয়মমতোই উপাচার্যকে রিপোর্টও দেন তিনি। এখানেও তাই পালানোর পথ নেই স্মৃতির। এত দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে এই ধরণের মন্তব্য করার জন্যও এর পরেও কী বেঁচে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নেহধন্যা! বারবার দল ও সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেও কোন শিক্ষা নেবেন না একদা ছোটপর্দার ‘বহু’?