হাইকোর্ট জানিয়েছে, আস্থা ভোটের ফলাফল বিধানসভায় ঘোষণা করা হবে না ৷ তার পরিবর্তে আস্থা ভোটের ফলাফল মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দিতে হবে ৷ উত্তরাখণ্ডে বিধানসভার সদস্যসংখ্যা ৭০ ৷ আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কংগ্রেসকে নিদেনপক্ষে ৩৬টি ভোট পেতে হবে ৷ যদিও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকল উত্তরাখণ্ডে ৷
গত ২৭ মার্চ হরিশ রাওয়াত সরকারের আস্থাভোট গ্রহণের একদিন আগেই উত্তরাখণ্ডে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন ৷ রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় হস্তাক্ষর করার পরই সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী উত্তরাখণ্ডে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন ৷ এই সিদ্ধান্ত শোনার পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত মন্তব্য করেন, ‘এটা গণতন্ত্র ও সংবিধানের হত্যা৷’এরপর রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস ৷
advertisement
তার আগে গত ২৬ মার্চ রাতে ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের বৈঠকে উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ করা হয় ৷ সূত্রের খবর, বৈঠকের পর গভীর রাতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে উত্তরাখণ্ডের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট সম্বন্ধে জানান এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেন ৷ সব দিক খতিয়ে দেখে রবিবার সকালে সেই সুপারিশে হস্তাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি ৷ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্যাবিনেটের সুপারিশে উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের কংগ্রেস সরকারকে খারিজ করে উত্তরাখণ্ডে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন ৷