ভাড়াবাড়ির দোতলার ছাদে ওই ড্রাম রাখা ছিল৷ প্রবীণা বাড়িওয়ালি কোনও কাজে ছাদে উঠে তীব্র পচা গন্ধ পান৷ তিনি বাধ্য হন ছাদ থেকে নেমে আসতে৷ ফিরে আসার পর, তিনি পুলিশকে ফোন করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নীল ড্রামের মুখ থেকে পাথর সরিয়ে ভিতর থেকে হংসরামের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে৷ ‘‘আদর্শ কলোনির একটি বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসার খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন বাড়ির ছাদে একটি নীল ড্রামে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত ব্যক্তির নাম হংসরাজ ওরফে সুরজ,’’ বলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার।
advertisement
তিনি আরও জানান, ‘‘”ভুক্তভোগী উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন এবং কিষাণগড় বাস এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। তিনি দেড় মাস আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে এখানে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে হংসরাজের স্ত্রী এবং সন্তানরা বাড়ি থেকে নিখোঁজ। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দলও এখানে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে৷’’ পুলিশ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন : ভারতে পথকুকুরদের খাওয়ানো কি বেআইনি? রাজধানীর রাজপথের সারমেয়দের কী করা হবে? জানুন বিশদে
চলতি বছরের মার্চ মাসে, উত্তরপ্রদেশের মেরঠে এক প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করেন স্ত্রী বলে অভিযোগ৷ তদন্তে জানা যায়, ঘাতক স্ত্রী এবং তার প্রেমিক মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে একটি ড্রামে ভেজা সিমেন্টের নীচে পুঁতে রেখেছিল। নিহত ব্যক্তির শিশুকন্যা প্রতিবেশীদের বলতে থাকে, ‘‘পাপা ড্রাম মেঁ হ্যায়৷’’ সেই সূত্রেই এই জঘন্য অপরাধ প্রকাশ্যে আসে।