এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ভুলি (উত্তরাখণ্ডের ভাষায় এর অর্থ হল বোন বা ভগিনী) কন্যাদান প্রকল্পের আওতায়। দেখা গিয়েছে যে বিয়েবাড়িতে এই জাতীয় মদ্যপানের আসর বসলেই অনেকেই মাত্রা ছাড়া মদ্যপান করেন আর নিজেকে সামলাতে পারেন না। এর থেকে হাতাহাতি, মারামারি, এমনকি খুনোখুনিও হয়ে যায়।
থানার সব কর্মীরা চাঁদা তুলে এই পুরস্কারের অর্থের যোগান করেছেন। দেবপ্রয়াগ পুলিশ থানার হাউজ অফিসার মহিপাল রাওয়াত মূলত এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তাছাড়া গ্রামের বাসিন্দারাও পুলিশের এই উদ্যোগে সায় দিয়েছেন এবং তাঁরাও চাইছেন অঞ্চলে এই জাতীয় সমস্যা দূর করতে।
advertisement
গত বছর চামোলির থারালি ব্লক এবং পিথোরাগড়ের দিদিহাটের মহিলারাও এই ভাবে মদ্যপানের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দেখা গিয়েছিল যে এই সব অঞ্চলে তরুণ সম্প্রদায় মদ্যপানের প্রতি অতিরক্ত আসক্ত হয়ে পড়ছে। যার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়ছে তাঁদের পরিবারের উপরে। বলাই বাহুল্য, এতে টাকাও প্রচুর খরচ হচ্ছিল এবং সংসারের শান্তিও বিঘ্নিত হচ্ছিল। এই দু'টি ডিভিশনে এখনও মদ্যপান বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা।
আরও পড়ুন COVID19 Vaccination: ভ্যাকসিন নিতে আজই সরাসরি নিজের নাম নথিভুক্ত করুন, রইল বিস্তারিত তথ্য
মহিপাল রাওয়াত জানিয়েছেন যে এর আগে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ মদ্যপানের প্রতি এতটাও আসক্ত ছিলেন না। কিন্তু এই সব গ্রাম্য পাহাড়ি অঞ্চলেও এখন নগরায়ণের প্রভাব পড়েছে। যার ফলে বিয়েবাড়ি-সহ অন্যান্য সব আনন্দ অনুষ্ঠানে মদ্যপান করার একটা রেওয়াজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। মদ্যপানের জন্যই এই রকম অনুষ্ঠানে নানা ঝামেলা, হাতাহাতি এমনকি মহিলাদের প্রতি অশ্লীল আচরণের অভিযোগ থানায় জমা পড়ছে। রাওয়াত আশা করছেন যে মদ্যপান বিরোধী প্রচারে স্থানীয় মানুষ সচেতন হবেন এবং নিজেদের সংস্কৃতিকে আরও বেশি মর্যাদা দেবেন।
কখনও মদের দোকানের সামনে ধর্না দিয়ে, আবার কখনও যারা মদ কিনতে এসেছেন তাঁদের গায়ে দুর্গন্ধ যুক্ত ঘাস ডলে দিয়ে মদ্যপান বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তরাখণ্ডের মহিলারা।