নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে গেলে একটি ১৬ পাতার ফর্ম ভরতে হবে পুরুষ এবং মহিলা দু জনকেই৷ আধারের সঙ্গে সংযুক্ত করা ওটিপি দিতে হবে নাম রেজিস্ট্রেশনের সময়৷ শুধু তাই নয়, অতীতে কোনও সম্পর্ক থেকে থাকলে তার খুঁটিনাটি তথ্যও জানাতে হবে৷ এ ছাড়াও কোনও একজন ধর্মীয় গুরুর থেকে লিখিত শংসাপত্র এনে জমা দিয়ে জানাতে হবে যে ওই যুগল চাইলে পরস্পরকে বিয়ে করতে পারেন৷
advertisement
উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
২৭ জানুয়ারি থেকে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হয়েছে৷ উত্তরাখণ্ডে যাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন অথবা থাকার কথা ভাবছেন, তাঁরা অনলাইন এবং অফলাইনে এই রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সারতে পারেন৷
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ যাত্রীর জন্য বড় খবর, ৩ দিন শিয়ালদহ দক্ষিণে ১০৮ ট্রেন বাতিল! কেন?
একই ভাবে যদি কোনও যুগল অথবা দু জনের মধ্যে যে কোনও একজন লিভ ইন সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে চান, তাহলে তাঁর সঙ্গীকে এবং জেলা রেজিস্ট্রারকে তা জানাতে হবে৷ যাতে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এবং তথ্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে থাকে৷
সম্পর্ক নথিভুক্তির নিয়ম ও শাস্তি
লিভ ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রত্যেক যুগলকে ৫০০ টাকা করে দিতে হবে৷ যদি লিভ ইন সম্পর্ক শুরু করার পরও কোনও যুগল যদি একমাসের মধ্যে নাম নথিভুক্ত না করায়, তাহলে তাঁদের অতিরিক্ত ১০০০ টাকা দিতে হবে৷ সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার সময়ও তা নথিভুক্তির জন্য আরও ৫০০ টাকা দিতে হবে৷
নতুন আইনে বলা হয়েছে, লিভ ইন সম্পর্কের নথিভুক্তিতে যদি এক মাসেরও দেরি হয় অথবা কেউ মিথ্যে তথ্য জমা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করেন, তাহলে তা ধরা পড়লে ৬ মাস পর্যন্ত জেল এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে৷ কোনও যুগল যদি নিয়ম না মানে তাগলে সরকার বা প্রশাসন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের নোটিস দিতে পারে৷ অথবা কারও অভিযোগের ভিত্তিতেও লিভ ইন সম্পর্কে থাকা কোনও যুহলকে নোটিস দেওয়া হতে পারে৷
কী কী নথি ও তথ্য লাগবে?
লিভ ইন সম্পর্কে থাকলে বাড়ির ঠিকানা এবং বয়সের দু জনকেই জমা দিতে হবে৷ যদি লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যে কোনও একজন অথবা দু জনেরই বয়স ২১ বছরের নীচে হয়, তাহলে তাঁদের বাবা মা অথবা অভিভাবকদের কাছে সেকথা প্রশাসনই জানিয়ে দেবে৷ অতীতে কোনও সম্পর্ক থেকে থাকলে বর্তমানে তা কী অবস্থায় রয়েছে, তাও বিশদে জানাতে হবে৷ যাঁরা ডিভোর্সি, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার চূড়ান্ত নির্দেশের নথি জমা দিতে হবে৷
নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে, লিভ ইন সম্পর্কে কোনও সন্তান হলে তাকে বৈধ বলেই গণ্য করা হবে৷ এমন কি, সে আর পাঁচটি বৈধ শিশুর মতোই বাবার মায়ের দিক থেকে সমস্ত সুযোগ এবং অধিকার লিভ ইন সম্পর্ক থেকে জন্মানো শিশুও থাকবে৷
লিভ ইন সম্পর্কে থাকা কোনও মহিলা সঙ্গীকে যদি তাঁর পুরুষ সঙ্গী ছেড়ে দিয়ে চলে যায়, তাহলে আইনি বিয়ের মতোই মহিলা সঙ্গীকে খোরপোষও দিতে হবে৷