মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মইনপুরীর পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং বলেন, ১১ অগাস্ট স্থানীয় কারপারি গ্রামের কাছে পুলিশ এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। তাঁর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি থানায় খোঁজ নেওয়ার পর, তারা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলাকে ফারুখাবাদের বাসিন্দা হিসেবে শনাক্ত করে।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে যখন তাঁরা অভিযুক্ত অরুণ রাজপুতকে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়, তখন সে তাঁদের বলে যে সে ইনস্টাগ্রামে ওই মহিলার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল এবং তাঁরা দেড় বছর ধরে বন্ধু ছিল। দু’ মাস আগে, তাঁরা নিয়মিত ফোনে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। বেশ কয়েকবার দেখাও করেন। গত ১১ অগাস্ট, অরুণের সঙ্গে দেখা করার জন্য ফারুখাবাদ থেকে মৈনপুরীতে পৌঁছন ওই মহিলা। পুলিশকে অভিযুক্ত জানায় যে ওই মহিলা কিছু দিন ধরে তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন৷ এখানেই শেষ নয়৷ অরুণকে দেড় লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রাম-বান্ধবী৷ ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বার বার চাপ দিচ্ছিলেন৷
অভিযুক্ত জানিয়েছে যে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে তার উপর ক্রমাগত চাপ দেওয়ার জন্য সে কিছুদিন ধরেই রেগে ছিল বান্ধবীর উপর৷ শেষ পর্যন্ত দেখা করার পর বাকবিতণ্ডার মাঝেই মহিলার পরা ওড়না দিয়েই শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করে। এরপর সিম কার্ডটি খুলে ফেলার পর সে তাঁর ফোনটি নিয়ে যায়। পুলিশ ফোনগুলি উদ্ধার করেছে এবং তাঁদের মধ্যে আদান-প্রদান করা মেসেজের বার্তা উদ্ধার করা হয়েছে। মহিলাকে হত্যার দায়ে অরুণ রাজপুতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মেধার আলোয় ম্লান শারীরিক খর্বতা! সব অপমানের জবাব দিয়ে ৩.৫ ফুট উচ্চতার আরতি ডোগরা এখন সফল IAS অফিসার
খুনের ক্ষেত্রে মহিলার বয়সের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা, সে প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণের দাবি, ইনস্টাগ্রামে একটি ফিল্টার ব্যবহার করতেন মৃতা৷ যা তাঁকে আরও কম বয়সি দেখাত। যখন তিনি প্রথমবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, তখনই প্রথম বার তিনি তাঁর আসল বয়স জানতে পারেন। প্রসঙ্গত নিহত মহিলা চার সন্তানের মা ছিলেন৷