ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ২৭৯, ৩৩৮, ৩০৪এ, ৩০২ এবং ১২০বি ধারায় আশিসকে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ৷ আশিসের বাবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র (Ajoy Mishra) অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন, ঘটনার সময় তিনি বা তাঁর ছেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না৷ কিন্তু যেভাবে লখিমপুর (Lakhimpur Lheri Incident) কাণ্ডে বিরোধীরা উত্তর প্রদেশ সরকারের উপরে চাপ বাড়াচ্ছিল এবং পুলিশি তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল, তাতে এক রকম বাধ্য হয়েই আশিস মিশ্রকে ডেকে পাঠালো পুলিশ৷ কারণ অভিযোগ উঠছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে বলেই আশিসকে আড়াল করার চেষ্টা করছে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ, প্রশাসন৷
advertisement
আরও পড়ুন: লখিমপুর খেরির ঘটনায় কী পদক্ষেপ করেছে যোগী সরকার, জানতে চাইল শীর্ষ আদালত
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ঘটনার সময় যে গাড়িগুলি ঘটনাস্থলে ছিল, তার একটির ভিতর থেকে দু'টি ব্যবহার করা গুলির খোল পেয়েছে ফরেন্সিক দল৷ এর পরই মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে ঘটনাস্থলে ফের তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ প্রমাণ যাতে নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখাও নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন৷ মোতায়েন করা হয়েছে রক্ষীও৷
উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজি মুকুল গয়ালের অবশ্য দাবি, তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে৷ তিনি বলেন, 'আমরা দু' জনকে গ্রেফতার করেছি৷ ভিডিও বা অন্য কোনও ধরনের তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে৷'
কৃষকরা আগেই দাবি করেছিলেন, ঘটনার দিন তেকুনিয়া গ্রাম থেকে আশিসকে পালানোর পথ করে দিতে গুলি ছুড়েছিল বিজেপি কর্মীরা৷ যদিও নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গুলির আঘাতের প্রমাণ মেলেনি বলেই দাবি করা হয়েছে৷ তবে তদন্তকারী দল এখনও গুলির আঘাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা পুরোপুরি নস্যাৎ করেনি বলেই সূত্রের দাবি৷ পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি দিয়ে কৃষকদের ধাক্কা মারা হয়েছিল কি না, তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে খুনের মামলা রুজু করা হবে৷