সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত বছর অক্টোবরে মিরাটের খাওয়াই গ্রামে দানিশ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতিতা বধুর। বধুর অভিযোগ স্বামী মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন তাঁর স্বামী। বিয়ের পর থেকেই তার উপর শুরু হয় অত্যাচার। প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় তাকে মারধর করত। এমনকী স্ত্রীকে বাজি রেখে জুয়াও খেলেছে স্বামী। অন্য পুরুষদের সঙ্গে স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও বাধ্য করত স্বামী, এমনটাই অভিযোগ ওই বধুর।
advertisement
নির্যাতিতা বধু বলেন, ‘‘উনি (স্বামী) এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা আমাকে মারধর করে এবং অন্য পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে।’’ স্বামী জুয়ায় হেরে যাওয়ার পর আটজন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ করেছেন অভিযোগ। তিনি আরও বলেন যে তার স্বামী হেরে যাওয়ার পর আটজন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করে, যার মধ্যে তিনজনকে উমেশ গুপ্ত, মনু এবং অংশুল নামে চিহ্নিত করেছেন, যারা সবাই গাজিয়াবাদের বাসিন্দা, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে তার স্বামীর পরিবারের সদস্যরাও তাকে নির্যাতন করেছে। তার মতে, তার স্বামীর বড় ভাই শাহিদ তাকে ধর্ষণ করেছে এবং তার ননদের স্বামী শওকিনও একই কাজ করেছে। তিনি দাবি করেছেন যে তার শ্বশুর ইয়ামিনও তাকে ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতা জানান ‘‘তুমি পণ নিয়ে আসোনি, তাই আমরা যা বলব সবই মানতে হবে। আমাদের খুশি রাখতে হবে।’’
আরও পড়ুন: আপেলের বীজ নাকি ক্ষতিকারক! চিবিয়ে ফেললে কতটা বিপদ, জেনে নিন!
অভিযোগকারী বলেছেন, “আমার বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। আমার স্বামী জুয়ার আসক্ত ছিল, সে আমাকে পণ রাখে। তারপর আটজন লোক আমাকে ধর্ষণ করে। আমার শ্বশুরও আমাকে ধর্ষণ করেছে এবং বলেছে যে যেহেতু আমি যৌতুক আনিনি, আমাকে তাদের খুশি রাখতে হবে। আমার ভাসুর এবং আমার ননদের স্বামীও আমাকে ধর্ষণ করেছে।”
তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার গর্ভাবস্থা জোর করে নষ্ট করানো হয়। পায়ে অ্যাসিড ঢালা হয়েছিল। আমাকে মেরে ফেলার জন্য নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পথচারীরা আমাকে বাঁচিয়েছে। এখন আমাদের মামলা প্রত্যাহার করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’
