বিতর্কের সূত্রপাত ২০২১-এর জুলাই মাসে। সে সময় কৃপাশঙ্কর ছিলেন উন্নাওয়ের সার্কল অফিসার। তৎকালীন পুলিশ সুপারের কাছে তিনি পারিবারিক কারণে ছুটির আবেদন করেছিলেন৷ ছুটি মঞ্জুরও হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু পরে জানা যায় তিনি আদৌ বাড়িতে যাননি৷ কানপুরের কাছে একটি হোটেলে ছিলেন এক মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে৷ অনুসন্ধানে জানা যায় ওই কনস্টেবলের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন কৃপাশঙ্কর৷
advertisement
প্রসঙ্গত কৃপাশঙ্করের স্ত্রীর অভিযোগেই টনক নড়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের৷ স্ত্রীর অভিযোগ ছিল বাড়িতে যানি কৃপাশঙ্কর৷ এমনকি, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না৷ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর শুরু হয় তল্লাশি৷
তল্লাশি ও তদন্তে দেখা যায় ব্যক্তিগত এবং কর্মসূত্রে পদাধিকার বলে পাওয়া কৃপাশঙ্করের দু’টি মোবাইল ফোনই বন্ধ হয়ে আছে৷ তাতে হাল ছাড়েননি অনুসন্ধানকারীরা৷ নাম্বার দু’টি ট্র্যাক করে দেখা যায় কানপুরের একটি হোটেলের কাছে শেষ বারের মতো সক্রিয় ছিল৷ প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয় তৎকালীন কৃপাশঙ্করকে অপরহরণ করা হয়েছে৷ সেই মতো সশস্ত্র পুলিশবাহিনী ওই হোটেলে অভিযান চালায়৷ সে সময়ই মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে সময় কাটানোকালীন অবস্থায় ধরা পড়েন কৃপাশঙ্কর৷
তিন বছর পর কৃতকর্মের ‘শাস্তি’ পেলেন কৃপাশঙ্কর৷ কর্মজীবনের শেষবেলায় পদাবনতি হয়ে অবসরের কিছু মাস আগে ডিএসপি থেকে হলেন কনস্টেবল৷ যদিও তাঁর প্রতি করা এই পদক্ষেপ কতটা যুক্তিযুক্ত, সেটা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷ দেখা দিয়েছে বিতর্ক৷