উরি জঙ্গি হামলার পর, গোটা বিশ্বে নিন্দার ঝড় ৷ পাকিস্তানকে সমলোচনা করে গোটা বিশ্বই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ৷ আকারে-ইঙ্গিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ ভারতের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন ৷ এবার পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করার জন্য সন্ত্রাশে মদতদাতা দেশ ঘোষণা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ৷
হোয়াইট হাইজ পাকিস্তানের সমালোচনা করে জমা পড়ল প্রায় পাঁচ লক্ষ মার্কিনি মানুষের স্বাক্ষর৷ পিটিশনের দাবি অনুযায়ী, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে মদতদাতা দেশ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে ৷ এই পিটিশন জমা পড়েছে হোয়াইট হাইজে ৷ ৬০ দিনের মধ্যে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ওবামা সরকার ৷
advertisement
পাক ভূমিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে দিল্লির রাজনীতির জলঘোলা। সুরবদল করে বিজেপিকে আক্রমণের রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। পি চিদাম্বরমের কটাক্ষ, বেশি মাতামাতি না করে ভিডিও প্রকাশ্যে আনুক সরকার। একই দাবি তুলে বিজেপিকে কৌশলে খোঁচা দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। বিতর্কে জল ঢেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, দেশের মানুষ সেনাকে বিশ্বাস করে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর, তা অস্বীকার করে বরাবরের মতো ময়দানে নেমেছিল পাকিস্তান। তবে মোদির পাশে দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ ভারতের চেহারা ফুটিয়ে তুলেছিল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। দু’দিন যেতেই সুরবদল। এমন হামলা ইউপিএ আমলেও হয়েছিল বলে দাবি প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ওই হামলার ভিডিও প্রকাশের দাবি তুলেছেন তিনি।
কৌশলে একই দাবি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। বিতর্ক বাড়লেও অনড় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৷ কার্গিল সফরের মধ্যেই এই খোঁচায় বিদ্ধ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। বির্তকে ইতি টানার চেষ্টা করেছেন রাজনাথ সিং। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খবর উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে পৌঁছেছে মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের কাছেও। সেই খবর প্রকাশ্যে এলেও রাজনৈতিক বিতর্কের ঝড় থামছে না।