তাঁর চিঠির বয়ানে লেখা, 'ন্যায়বিচারের প্রতি সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলেছি। ৯ অক্টোবর পুরাণপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ উল্লেখ করা অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও। এদিকে ওরা আমাকে চুপ থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমার ভয়ানক পরিণতি হবে বলে হুমকিও দিচ্ছে।'
মহিলার কথায় জানা যায়, প্রথম বিয়ে থেকে বিচ্ছেদের তিন বছর পরে তিনি গত এপ্রিল মাসে চণ্ডীগড়ের ৫৫ বছরের এক কৃষককে বিয়ে করেছিলেন। এর পরেই তাঁর সৎ ছেলে তাঁকে অবৈধ সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি করেন। রাজি না হলে ভয়ানক পরিণতির হুমকিও দেন। ফলে তিনি প্রথমে চুপ ছিলেন। কিন্তু তার পরে এটি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয় বলে মহিলার অভিযোগ।
advertisement
মহিলার দাবি, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং ডিএনএ পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে পুরাণপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় নাবালিকার গণধর্ষণের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস
অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, ১৮ জুলাই তাঁকে চণ্ডীগড়ে তাঁর স্বামীর খামারবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাঁর স্বামীর কয়েকজন আত্মীয় এবং দুই সহকর্মী তাঁকে ধর্ষণ করেন। পুরাণপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মহিলার দাবি, এরপর আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না তাঁর কাছে। আদালত এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নার্সকে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ, ধৃত ৩ জনের এক নাবালক!
পিলিভিটের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রভু জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) একাধিক ধারা, ৩৭৬ ডি (গণ-ধর্ষণ), ৩২৩ -(স্বেচ্ছায় আঘাত করা) এবং ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান)-এর অধীনে পুরাণপুর কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ মহিলার স্বামী ও সৎ ছেলে-সহ মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। দীনেশ আশ্বাস্ত করেছেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং দাবি, মামলাটি জটিল বলেই এতটা সময় লাগছে।
বর্তমানে মহিলা তাঁর মা, দুই ভাই এবং প্রথম পক্ষের ছয় বছরের ছেলের সঙ্গে থাকছেন।