গ্রেফতারির পর এক বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড জানিয়েছে, ‘বিদেশ মন্ত্রকের এমটিএস (মাল্টি-টাস্কিং, স্টাফ) হিসাবে কর্মরত সতেন্দ্র সিওয়ালকে ইউপি এটিএস গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইএসআই-এর হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। সতেন্দ্রকে মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসে পোস্ট করা হয়েছিল। তিনি মূলত হাপুরের বাসিন্দা’।
ধৃত সত্যেন্দ্র হাপুর জেলার শাহমহিউদ্দিনপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়বীর বীর সিংয়ের পুত্র। তাঁকে মেরঠ থেকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রক গ্রেফতারির ঘটনা জানে। এই বিষয়ে তারা তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
advertisement
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এটিএসের জিজ্ঞাসাবাদে সত্যেন্দ্র আইএসআই-এর হয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করেছেন। ধৃতের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন এবং বেশ কিছু পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের সদস্যরা গোপন সূত্রে খবর পায়, আইএসআই হ্যান্ডলাররা ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য হাতাতে বিদেশ মন্ত্রকের কিছু কর্মীকে টাকার টোপ দিয়েছে। এরপর শুরু হয় তদন্ত। ইলেকট্রনিক এবং ফিজিক্যাল নজরদারিতে এটিএস জানতে পারে, সত্যেন্দ্র আইএসআই হ্যান্ডলারদের সঙ্গে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত। টাকার বিনিময়ে সেনা, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের বহু তথ্য তিনি গোপনে পাকিস্তানে পাচার করেছেন।
এরপরই আইবির সঙ্গে একযোগে অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ এটিএস। গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্রকে। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি সত্যেন্দ্র। পরে নিজের অপরাধ কবুল করেন তিনি। শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সত্যেন্দ্র আইএসআই হ্যান্ডলারদের কাছে প্রায় ১০-১২টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করেছিলেন।
তাঁর বিরুদ্ধে মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও চুক্তির বিবরণ শেয়ার করার অভিযোগও রয়েছে। ২০২১ সাল থেকে মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসে আইবিএসএ (ভারত-ভিত্তিক নিরাপত্তা সহকারী) কর্মরত সতেন্দ্রের বিরুদ্ধে আইপিসির ১২১এ ধারার (দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো) লখনউয়ের এটিএস থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।