সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর বেশ কিছু দিন কাটলেও এখনও ক্ষত শুকোয়নি ইসলামাবাদের। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি লক্ষ্য করে পাক সেনার গোলাগুলি ছোড়া অব্যাহত। শুক্রবারের পর, শনিবারও একই ঘটনা ঘটে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও আর এস পুরা সেক্টরে। পাকিস্তানি হামলার জেরে হীরানগরের কাছে বোবিয়া এলাকার চারশো বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হামলার জবাব দিয়েছে ভারতও।
advertisement
গুলি বিনিময়ের জেরে শুক্রবার, কাঠুয়া জেলার হীরানগরে সাত পাক রেঞ্জার্স জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে বিএসএফের দাবি। স্নাইপার সহ একাধিক আধুনিক অস্ত্র নিয়ে পাক রেঞ্জার্স হামলা চালায়। পাল্টা গুলি ছোড়ে বিএসএফও। যদিও রেঞ্জার্স জওয়ানদের মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। মনে করা হচ্ছে, শীত সামনে আসতেই সীমান্ত দিয়ে জোরকদমে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান।
শনিবার, বারামুলার কানিসপোরা সেক্টর থেকে দুই জইশ এ মহম্মদ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের থেকে মিলেছে একে ৪৭, পিস্তল ও বুলেট। তাদের বিরুদ্ধে বারামুলায় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সাম্বা সেক্টর থেকে বোধরাজ নামে এক পাক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তার কাছে মিলেছে সিম কার্ড। মিলেছে যেখানে যেখানে ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে তার ম্যাপও। ভূর্স্বের্গের নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে শীতের মুখে কার্যত চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা।